নয়াদিল্লি: বেড়াতে গিয়ে ভীমরুলের আক্রমণের মুখে। বেঘোরে প্রাণ গেল বাবা ও ছেলের। ঝাঁক ধাঁক ভীমরুল মিলে কার্যতই ছিঁড়ে খেল তাঁদের। ভীমরুল হুল ফোটালে এমনিতেই যন্ত্রণা হয়, তার উপর ভীমরুলের বিষ থেকে অ্যালার্জিক রিয়্যাকশনও দেখা দেয়। তার জেরেই ওই দু’জনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। (Hornet Attack Kills Father Son)

Continues below advertisement

লাওসে বেড়াতে গিয়ে এমন মর্মান্তিক পরিণতি হল আমেরিকার নাগরিক এক ব্যক্তি এবং তাঁর ১৫ বছরের ছেলে। এশিয়ান জায়ান্ট হর্নেট, অর্থাৎ এশীয় ভীমরুলের ঝাঁক তাঁদের ছেঁকে ধরে। এশিয়ার ভীমরুল আকারেও সবচেয়ে বড়। এদের বিষেও মারাত্মক যন্ত্রণা হয়। অ্যালার্জি থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। (Viral News)

গত ১৫ অক্টোবর এই ঘটনা ঘটে। ৪৭ বছর বয়সি ড্যানিয়েল ওয়েন এবং তাঁর ছেলে কুপার লুয়াং প্রবাংয়ের কাছে, মেকং নদীর উপর জিপ লাইনিং-এর জন্য পৌঁছেছিলেন স্থানীয় ইকোপার্কে। আমেরিকার আইডাহোর বাসিন্দা ড্যানিয়েল ভিয়েতনামের একটি বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। প্রায় দুই দশক ধরে, স্ত্রী জেসিকা ও ছেলে কুপারের সঙ্গে ভিয়েতনামেই বাস করছিলেন তিনি। 

Continues below advertisement

জানা গিয়েছে, একটি গাছের উপর থেকে নেমে আসছিলেন ড্যানিয়েল এবং তাঁর ছেলে। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের গাইডও। সেই সময়ই ভীমরুলের ঝাঁক তাঁদের উপর হামলা করে। বাবা ও ছেলেকে প্রায় ১০০ বার করে হুল ফোটায়। দু’জনের শরীর পুরো লাল হয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসক ফানোমসে ফকন বাবা ও ছেলের চিকিৎসা করেন। তিনি জানিয়েছেন, অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতি। ভয়ঙ্কর বিপদ। এমন মৃত্যু নিজের ২০ বছরের কেরিয়ারে তিনি দেখেননি। ওই চিকিৎসক বলেন, “ওঁদের গোটা শরীর লাল দাগে ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। ১০০-র বেশি বার হুল ফোটানো হয় শরীরে। আমার গোড়াতেই মনে হয়েছিল, ভয়ঙ্কর বিপদ। এমন পরিস্থিতি আগে দেখিনি।”

তবে ভীমরুলের কামড় খেয়ে গোড়াতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েননি বাবা ও ছেলে। বরং গোড়ায় বেশ টনটনে জ্ঞানই ছিল দু’জনের। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্য়েই প্রাণবায়ু বেরিয়ে যায় দু’জনের। এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে তাদের কল্পনাতেও ছিল না, জানিয়েছে গ্রিন জঙ্গল পার্ক নামের ইকোপার্কটি। ভবিষ্যতে যেমন এমন ঘটনা না ঘটে, তার জন্য কোনও খামতি রাখা হবে না বলে জানিয়েছে তারা।