নয়াদিল্লি: রসগোল্লা কি কম পড়িয়াছে? উহুঁ... তা হলে তো চলবে না। অতএব...শুম্ভ-নিশুম্ভের লড়াই শুরু। তাতে জখমও হলেন ৬ জন। গল্প ভাবছেন? মোটেও নয়। একেবারে নির্ভেজাল বাস্তব। উত্তরপ্রদেশে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে এমনই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।
রসগোল্লা নিয়ে লড়াই...
রবিবার গভীর রাত। উত্তরপ্রদেশের সামসাবাদ এলাকায় ব্রজভূষণ কুশওয়াহার বাড়িতে তখন বিয়ের আসর জমে উঠেছে। শীতের আমেজ, তার মধ্যে অতিথি-অভ্যাগতদের ভিড়। কব্জি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়া শুরু হওয়ার পথে। হঠাৎ, অতিথিদেরই কেউ একজন জানালেন, রসগোল্লা প্রায় শেষের পথে। এদিকে তখনও মিষ্টিপ্রেমী অতিথিদের অনেকেই রসগোল্লার অপেক্ষায়। খবর শুনতেই শুরু হইচই। সেখান থেকে বচসা, তার পর কী ভাবে যেন হাতাহাতি বেঁধে যায়। সামসাবাদ পুলিশ স্টেশনের স্টেশন হাউস অফিসার জানান,সেই লড়াইয়েই ভগবান দেবী, যোগেশ, মনোজ, কৈলাস, ধর্মেন্দ্র এবং পবন নামে ছ'জন জখম হন। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আশার কথা, প্রত্যেকই বিপন্মুক্ত। ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের সামসাবাদের এই ঘটনা শুনে কারও কারও মনে পড়ে গিয়েছে গত বছরের আরও একটি ঘটনার কথা। গত বছর অক্টোবরে এতমাদপুরে ওই ঘটনাটি ঘটে। সেবারও একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে মিষ্টি কমা পড়ায় মারপিট শুরু হয়েছিল বলে অভিযোগ। তাতে ১ জনের মৃত্যু হয়, জখম হন ৫ জন।
মিষ্টি নিয়ে ঝাঁঝালো লড়াই...
এতমাদপুরের ঘটনায় পুলিশ জানতে পারে, রসগোল্লা কম পড়ায় পাত্র ও কন্যাপক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। সেই বচসা থেকে কখন যে মারপিট বেধে গিয়েছিল, তা অভ্যাগতদের অনেকে বুঝে উঠতে পারেননি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ জানিয়েছিলেন, বচসার মধ্যেই এক ব্যক্তি ছুরি হাতে অতিথিদের দিকে তেড়ে এসেছিলেন। তার আঘাতে ২২ বছরের এক তরুণ গুরুতর জখম হন। প্রথমে সেই তরুণকে কমিউনিটি হেলথ সেন্টার ও পরে আগরার সরোজিনী নাইডু মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হলেও প্রাণে বাঁচানো যায়নি। জখম ৫ জনের অবশ্য কমিউনিটি হেলথ সেন্টারেই চিকিৎসা চলে। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে কমপ্লেন দায়ের করে পুলিশ। তবে ঘটনার পর পরই কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
বিয়ের মতো পারিবারিক আনন্দানুষ্ঠানে মিষ্টি কম পড়ায় এরকম অশান্তির ঘটনা জানতে পেরে হতবাক অনেকেই। হয়তো প্রশ্ন, রসগোল্লার রস বড় বিষম খেলেও তা যে যুদ্ধের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে সে কথা অনেকেই আন্দাজ করেননি।