নয়াদিল্লি: মহাকুম্ভ থেকে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন। সেই থেকে IIT Baba (আইআইটি বাবা)-কে নিয়ে চর্চা সর্বত্র। এবার নতুন করে চর্চায় তাঁর শিক্ষাজীবন। সোশ্যাল মিডিয়ায় IIT Baba-র মার্কশিট বলে কিছু নথি ছড়িয়েছে, যা দেখে IIT Baba-র মেধার প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনুরাগীরা।
IIT Baba ওরফে অভয় সিংহের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির মার্কশিট বলে একটি নথি ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই নথিতে দেখা গিয়েছে, মাধ্যমিকে তিনি ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। উচ্চমাধ্যমি নম্বর ছিল ৯২.৪ শতাংশ। ওই রেজাল্টের দৌলতেই দেশের অন্যতম ঐতিহ্যশালী প্রযুক্তি শিক্ষার কেন্দ্র IIT Bombay-দরজা খুলে যায় তাঁর জন্য।
শুধু মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকেই নজরকাড়া রেজাল্ট হয়নি, ২০০৮ সালে তিনি IIT-র জন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেন। তাতে গোটা দেশের মধ্যে ৭৩১তম স্থান পান তিনি। অর্থাৎ দেশের অন্যতম সেরা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার দৌড়ে শামিল হন।
২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন IIT Baba. কানাডায় চাকরিও পেয়েছিলেন, বেতন ছিল বছরে ৩৬ লক্ষ টাকা। কিন্তু সেই সব ত্যাগ করে আধ্যাত্মিকতার পথ বেছে নেন তিনি। মহাকুম্ভ থেকেই প্রথম তাঁর সঙ্গে পরিচয় ঘটে দেশবাসীর। কিন্তু সেই থেকে একের পর এক বিতর্কেও জড়িয়ছেন তিনি।
সম্প্রতি জয়পুরে পুলিশও IIT Baba-কে আটক করে। তাঁর হোচেলের ঘর থেকে গাঁজা পাওয়া যায় বলে জানা যায়। পরে যদিও জামিনে বেরিয়ে আসেন তিনি। ভারত বনাম পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচে ভবিষ্যদ্বাণী করে ট্রোলড-ও হন IIT Baba.
যদিও ছেলের বর্তমান জীবনের জন্য নিজেকেই দায়ী করেন IIT Baba-র পিতা কর্ণ সিংহ গ্রেবাল। তিনি জানান, স্ত্রীর সঙ্গে নিত্যদিন অশান্তি লেগে থাকত তাঁর। বাড়িতে রোজ এসব হতে দেখেই সমাজ-সংসারের প্রতি মোহ কেটে যায় ছেলের। বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। ঝাজ্জর বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন অধ্যক্ষ কর্ণ। নিজের ছেলেকে তিনি ‘সহজ-সরল’, ‘সৎ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর দাবি, বাড়িতে মা-বাবার মধ্যে রোজ অশান্তি হতে দেখেই সমাজ-সংসারের মায়া ত্যাগ করে আধ্যাত্মিকতায় ডুব দেন ছেলে।
কর্ণ জানান, মা-বাবার মধ্যে অশান্তির রেশ পড়ে ছেলের উপরও। গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হয় সে-ও। তিনি জানান, ছেলের মন ছিল অত্যন্ত সংবেদনশীল। মা-বাবার মধ্যে রোজ অশান্তি দেখতে দেখতে ভিতরে ভিতরে গুটিয়ে যান। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন সংসার থেকে। এর জন্য দেশে নির্দিষ্ট আইন-কানুন থাকা উচিত বলে মত কর্ণের। নিজের ভুল স্বীকার করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ছেলেমেয়ের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই সংযত আচরণ করা উচিত মা-বাবার। IIT Baba-র মার্কশিট বলে যে নথি ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, তার সত্যতা যাচাই করেনি এএবিপি আনন্দ।