প্রয়াগরাজ: কোটায় প্রতি বছর বহু ছাত্র আত্মহননে বাধ্য হয়। আর এই বর্ধিত ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা পীড়িত করেছে আইআইটি বাবা নামে খ্যাত অভয় সিংকেও। প্রতি বছর বহু ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনার অত্যধিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে কুম্ভমেলায় ভাইরাল (Maha Kumbh 2025) হওয়া আইআইটি বাবা জানান এই পড়ুয়াদের মৃত্যু (IIT Baba) ঠেকাতে গেলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় বেশ কিছু বদল আনতে হবে। তিনি মনে করেন ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলা মানসিক চাপ কমাতে একমাত্র উপায় হতে পারে শিক্ষাব্যবস্থায় বদল আনা, আর তর সঙ্গে সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক শান্তির (Abhay Singh) জন্য তাদের আধ্যাত্মিক চিন্তার পথ প্রসারিত করা। সংবাদমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান তিনি।


চার বছর আইআইটি বম্বেতে মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি, কিন্তু তার কথায় সেই সময় তার জীবনে এমন একটা কিছুর অভাব বোধ করছিলেন তিনি যার দরুণ পরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের রাস্তা ছেড়ে তিনি চলে আসেন ফোটোগ্রাফি এবং শিল্পকলা চর্চার দিকে। ক্রমে ক্রমে নিজের প্যাশনকে আবিষ্কার করেছেন তিনি। অভয় সিং আরও জানান, সিমলা, মুসৌরি, ধরমশালার মত জায়গায় ঘুরে ঘুরে তার এও মনে হয়েছে যে অধ্যাত্মের প্রতি তার অন্তরের টান রয়েছে। তিনি জানান, তিনি এইসব জায়গায় ঘুরে সত্যিকারের পূর্ণতা পেয়েছেন।


সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভয় সিং কোটায় পরপর ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, 'আমাদের এই ব্যবস্থা আমূল বদলে ফেলা দরকার। শিক্ষাব্যবস্থা ছাত্রদের উন্নতির স্বার্থে তাদের জন্য হওয়া উচিত। এমন হওয়া উচিত নয় যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা কেবল হয়রানির শিকার হয়। শিক্ষা ব্যবস্থায় বদল আনার পাশাপাশি অধ্যাত্মের সূচনা করা উচিত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যাতে অবসাদ এবং আত্মহত্যার মত ঘটনা এড়ানো যায়'। আইআইটি বাবা একটি ঘটনায় আমাদের চোখ খুলে দেন, তিনি বলেন, 'আমি একজন অঘোরি বাবার সঙ্গে এক-দুদিন কাটিয়েছিলাম। তিনি সপ্তাহখানেক ধরে সাধনা করছিলেন। তারপরেই আমার জীবন বদলে যায়।' তিনি জানান এখন তার নিজের অস্তিত্বকে বাধাহীন মনে হয়, তার মনে হয় তিনি এখন সমস্ত কিছুর উর্ধ্বে, তিনি উন্মুক্ত প্রাণ এক।


আরও পড়ুন: Govt School Teacher: ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি, ৯ বছর ধরে ভারতেই শিক্ষকতা করছিলেন; পুলিশের জালে পাক মহিলা