লিমা: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে আছড়ে পড়েছিল গাড়ি। ধ্বংসস্তূপ থেকে কোবও রকমে বার করে আনা হয়েছিল দেহ। কিন্তু নাড়ি টিপে প্রাণের স্পন্দন শোনা যায়নি। তাই মৃত ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিজের নিজের নিজের শেষকৃত্যে আচমকাই কফিনের মধ্যে বেঁচে উঠলেন মহিলা (Dead Woman Comes Alive)। কিন্তু মুহূর্তের জন্যই, তার পর ফের চিরনিদ্রা (Viral News)।


অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘিরো শোরগোল


গল্পকথা বা নেহাত অপপ্রচার নয়, পেরুর (Peru News) লাম্বাশেক থেকে এমনই ঘটনা সমনে এসেছে। গত সপ্তাহে জামাবাবু  এবং তিন বোনপোর সঙ্গে গাড়িতে চেপে ফিরছিলেন রোজা ইসাবেল। সেই সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁদের গাড়িটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুহূর্তের মধ্যে আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনার তীব্রতায় মৃত্যু হয় রোজা এবং তাঁর জামাইবাবুর। গুরুতর আহত হয় রোজার তিন বোনপো।


দুর্ঘটনার পর দুমড়ে মুড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে রোজা এবং তাঁর জামাইবাবুর দেহ কোনও রকমে বার করে আনা হয়। তড়িঘড়ি এলাকার হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। কিন্তু সেখানে দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তাতে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা পরিবারে।


সেই পরিস্থিতিতেই গত মঙ্গলবার শেষকৃত্যের আয়োজন করা হয়। সমাধিস্থ করার আগে কফিনবন্দি করে রাখা হয় রোজার দেহ। সেখানে পরিবার এবং আত্মীয়-পরিজনরা একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তার পর দেহ সমাধিস্থ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই সময়ই রোজা কফিনের মধ্যে বেঁচে ওঠেন বলে দাবি পরিবারের।


আরও পড়ুন: Howrah News : 'ক্লাবের দাবি মতো চাঁদা দিতে অস্বীকার করায়' ব্যবসায়ীর বাড়িতে ভাঙচুর, তুলকালাম জগৎবল্লভপুরে


জানা গিয়েছে, কাঁধে রোজার কফিন নিয়ে এগোচ্ছিলেন পরিবারের লোকজন। সেই সময় আচমকাই কফিনের মধ্যে নড়াচড়া অনুভব করেন তাঁরা। কফিনের ভিতর থেকে টোকা দিতেও শোনা যায়। সঙ্গে সঙ্গে কাঁধ থেকে কফিন নামিয়ে ফেলেন সকলে। ঢাকনা খুলে দেখেন, চেয়ে রয়েছেন রোজা। ঘামে ভিজে তাঁর সারা শরীর (Knock on Coffin)।


বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে কফিনে শায়িত অবস্থাতেই রোজাকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন সকলে। পরিস্থিতি গুরুতর দেখে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় রোজাকে। সেই অবস্থায় কয়েক ঘণ্টা লড়াইয়ের পর মারা যান রোজা। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। দুর্ঘটনার পর যদি রোজা মারাই গিয়ে থাকতেন, তাহলে কফিনে বেঁচে উঠলেন কীভাবে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের লোকজন।


হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন


কফিনে রোজার বেঁচে ওঠার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছেন পরিবারের লোকজন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, দুর্ঘটনার পর গভীর কোমায় চলে যান রোজা। সেই অবস্থায় তাঁকে ভুলবশত মৃত ঘোষণা করে দেওয়া হয়। কফিনে দমবন্ধ অবস্থায় কোমা থেকে রোজা ফিরে আসেন এবং বাঁচার চেষ্টা করেন বলে মনে করা হচ্ছে।