নয়াদিল্লি: কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি না হওয়ায় মুষড়ে পড়েছিলেন। কিন্তু পদোন্নতি না হওয়ার কারণ জেনে স্তম্ভিত এক যুবক। নিজেক কাজে ‘অতীব পারদর্শী’ হওয়াতেই পদোন্নতি হয়নি বলে জানতে পারলেন তিনি। শুধু তাই নয়, ওই যুবককে জানানো হয়, তাঁর দক্ষতার জেরে কঠিন কাজও সহজ মনে হয়। তিনি উঁচু পদ পেয়ে গেলে নীচুতলার কাজ সামলানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। (Viral News)

Reddit-এ নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন ওই যুবক। তিনি জানিয়েছেন, চার বছর ধরে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে আসছেন তিনি। নতুন ছেলেমেয়েদের প্রশিক্ষণ দেওয়া থেকে ম্যানেজারকে কাজে সাহায্য় করা, সিস্টেম ফেলিওর, সব কিছু সামলে আসছিলেন। কাজের পারফরম্যান্স বরাবরই ভাল ছিল তাঁর। (Workplace and Mental Health)

সম্প্রতি সংস্থায় উঁচুস্তরের একটি পদ খালি হয়ে যায়। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস ছিলই, সেই সঙ্গে অভিজ্ঞতাও অর্জন হয়েছিল। তাই ওই পদের জন্য আবেদন করেন তিনি। কিন্তু ওই পদে তাঁকে বহাল করা হয়নি। বরং ছ’মাসের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এক জুনিয়রকে বসানো হয় ওই উঁচু পদে। অথচ ওই জুনিয়র তাঁর হাতেই তৈরি, তাঁর কাছ থেকেই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত।

কেন ওই পদে তাঁকে বহাল করা হল না, নিজের ম্যানেজারের কাছে জানতে চান ওই যুবক, তাতে যা জবাব আসে, তাতে স্তম্ভিত হয়ে যান তিনি। ম্যানেজার জানান, নিজের কাজে ‘অতীব পারদর্শী’ ওই যুবক। তাঁর পদোন্নতি হলে নীচুস্তরের ওই পদে তাঁর মতো ভাল কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠবে।

Reddit-এ ওই যুবক লেখেন, “অর্থাৎ আমি নিজের কাজে ভাল বলে আমার পদোন্নতি হবে না। ছ’মাস আগে আসা একজনকে ওই পদে বসানো হল। অথচ প্রত্যেক দিন তাকে কাজ শেখাতে হয়। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যে কাজ করতে পারি, সেই কাজকে গুরুত্ব দেওয়ার ভান করতে হচ্ছে আমাকে। যাকে প্রশিক্ষণ দিলাম, চোখের সামনে তাকে নিজের থেকে উঁচু পদে দেখছি, ভাল আসনে বসতে দেখছি, নিজের থেকে বেশি বেতন পেতে দেখছি। আমি চাকরি ছাড়ছি না, বিদ্রোহও করছি না। শুধু রয়ে গিয়েছি। যা বলা হচ্ছে করছি, তার থেকে একচুলও বেশি নয়। দক্ষতার মূল্য যে নেই বুঝে গিয়েছি।”

ওই যুবকের পোস্ট দেখে অনেকেই একাত্ম বোধ করেছেন। সবদিক থেকে যোগ্য, দক্ষ হয়েও যে কদর পাওয়া যায় না, সে ব্যাপারে একমত অনেকেই। এমনকি বেশি পরিশ্রম করে, পদে পদে নিজের দক্ষতা, যোগ্যতা প্রমাণ করেও যে কদর পাননি, সেকথা জানিয়েছেন তাঁরা। বার বার এমন হওয়ায়  হতাশাগ্রস্ত হওয়ার কথাও জানিয়েছেন কেউ কেউ। এমনকি সহকর্মীকে সাহায্য় করার ক্ষেত্রেও এখন ভাবতে হয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। দিনের পর দিন বঞ্চনার শিকার হয়ে ভাল লোকজনও চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কেউ কেউ।