নয়াদিল্লি: শান্তির দাবিতে দেশ-বিদেশে একাধিক সম্মেলন হলেও, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে পৃথিবীতে ঘোষিত ভাবে দু'টি যুদ্ধ চলছে। একদিকে রাশিয়া বনাম ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে, অন্য় দিকে যুদ্ধে লিপ্ত ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের সংগঠন হামাস। সেই আবহেই এবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী সামনে এল। ভবিষ্যদ্বাণী করলেন ভারতের 'নব্য় নস্ত্রাদামুস' কুশল কুমার। (World War 3 Predictions)
জ্যোতিষী হিসেবে নামযশ রয়েছে কুশলের। পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আগেভাগে আভাস দেন তিনি। ইজরায়েল বনাম হামাস, উত্তর বনাম দক্ষিণ কোরিয়া,চিন বনাম তাইওয়ান এবং রাশিয়া বনাম NATO-র মধ্যেকার সংঘাত বাড়বে বলেও অতি সম্প্রতি ঘোষণা করেন তিনি। এবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করলেন কুশল। (Kushal Kumar Predictions)
নস্ত্রাদামুস, বাবা ভাঙ্গা-সহ এযাবৎ বহু জ্যোতিষীই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। কিন্তু কবে নাগাদ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধতে পারে, সেই নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। প্রায়শই এই সংক্রান্ত খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় মাথাচাড়া দিলেও, কিছুদিনের মধ্যেই হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। তাতেই এবার নয়া সংযোজন কুশলের ভবিষ্যদ্বাণী।
আরও পড়ুন: MH370 Mystery: ১০ বছর বেপাত্তা রহস্যময় বিমান MH370, এবার তাই সাগরে 'বিস্ফোরণ' ঘটানোর ভাবনা !
কুশল জানিয়েছেন, খুব বেশি দেরি নেই, আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ার ওপেন প্ল্যাটফর্ম Medium-এ নিজের ভবিষ্যদ্বাণী পোস্ট করেছেন কুশল। তাঁর দাবি, ইরানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির মৃত্যুর পরই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা মাথাচাড়া দিয়েছে। গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান অনুযায়ী, ১০ থেকে ২৯ জুনের মধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধার সম্ভাবনা প্রবল বলে জানিয়েছেন কুশল। এর মধ্যে ১৮ জুন দিনটিতে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানই যুদ্ধ উস্কে দেবে বলে দাবি তাঁর।
হরিয়ানার পঞ্চকুলার বাসিন্দা কুশল, নিজেকে জ্যোতিষী বলেই দাবি করেন। নিজের পরিচয় দেন বৈদিক জ্যোতিষী হিসেবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় কুশল। তাই তাঁর এই ভবিষ্যদ্বাণী সাড়া ফেলে দিয়েছে। অতি সম্প্রতি ব্রিটিনের সরকারের তরফে একটি ওয়েবসাইটের সূচনা করা হয়। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে যাতে আগেভাগে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুত করে রাখতে পারেন নাগরিকরা, তা ওই ওয়েবসাইটের মাধ্য়মে জানানো হবে বলে ঘোষণা করা হয়। তাই কুশলের ভবিদ্বাণী অনেককেই ভাবিয়ে তুলেছে। কেউ কেউ যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতিতে অস্থিরতা লক্ষ্য করে এমন নানা দাবি করা যায় বলে বলে দাবি করছেন অনেকেই।