6 IITians Who Left Lucrative Jobs: প্রেমের ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন ‘টাকা মাটি মাটি টাকা’। টাকাকে তারা মাটি করেছেন বটে, নিজেরাও এসেছেন মাটির কাছাকাছি। নিয়েছেন সন্ন্যাস। কোটি টাকার প্যাকেজ ছেড়ে তাঁরা বেছে নিয়েছেন নির্মোহ এই জীবন। রসনাথ দাস থেকে আচার্য প্রশান্ত, এমন অনেক নাম সেই তালিকায়। তারা যে শুধু সন্ন্যাস নিয়েছেন, তাই নয়। তাদের এক-একটি বক্তৃতা শুনতে ভিড় করে মেধাবী তরুণেরা  ও ভক্তবৃন্দরা। কোটি টাকার প্যাকেজ ছেড়ে জনগণন জয় করেছেন তাঁরা।


আচার্য প্রশান্ত (Acharya Prashant) - প্রথমেই বলা যেতে পারে আচার্য প্রশান্তের কথা। দিল্লি আইআইটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। আসল নাম প্রশান্ত ত্রিপাঠী। শুধু আইআইটিয়ান নন, আমেদাবাদ আইআইএম থেকে পড়াশোনা করে সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক সিভিল সার্ভিসে ছিল বহু বছর।


রাধেশ্যাম দাস (Radheshyam Das) -  ১৯৯৩ সালে বোম্বে আইআইটি থেকে এম টেক পাশ করেন রাধেশ্যাম দাস। পড়াশোনার পর CECRI, THERMAX ও MATHER AND PLATT-এর মতো বড় বড় সংস্থার জন্য কাজ করেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মন টেঁকেনি। চার বছরের মাথায় এসব ছেড়ে দেন ১৯৯৭ সাল থেকে পুনের ইসকন মন্দিরের নেতৃত্বে রয়েছে রাধেশ্যাম দাস।


সংকেত পারেখ (Sanket Parekh) - কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন সংকেত। বোম্বে আইআইটি-র প্রাক্তনী লাখ টাকার প্যাকেজের চাকরিও পান। কিন্তু সেসব ছেড়ে দেন মাত্র ২৯ বছর বয়সেই। তার পর জৈনধর্মে দীক্ষা নেন। বর্তমানে জৈন সন্ন্যাসী তিনি।


অভিরাল জৈন (Aviral Jain) -  বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি ও আইআইটির প্রাক্তনী ছিলেন অভিরাল জৈন। দৈনিক জাগরনের একটি রিপোর্ট মোতাবেক ৪০ লাখ টাকার প্যাকেজ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেসব ছেড়ে বর্তমানে সন্ন্যাস জীবনযাপন করছেন তিনি।


স্বামী মুকুন্দানন্দ (Swami Mukundananda) -  আইআইটি দিল্লি থেকে  বিটেক করেন মুকুন্দানন্দ। এর পর আইআইএম কলকাতা থেকে অর্জন করেন মাস্টার্স ডিগ্রি। লোভনীয় চাকরির অফার ছেড়ে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের পত্তন করেন স্বামী মুকুন্দানন্দ। টেক্সাসে ডালাসে সেই সংস্থাটি রয়েছে।


রসনাথ দাস (Rasanath Das) - আইআইটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন রসনাথ দাস। এর পর কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ পাশ করেন। তাঁর কাছে যে চাকরির প্রস্তাব আসে, তা অনেক তরুণই স্বপ্ন দেখেন। ডেলয়েট, ব্যাঙ্ক অব আমেরিকা সেসব চাকরি ছেড়ে বর্তমানে সন্ন্যাস জীবনই বেছে নিয়েছেন রসময়। আপবিল্ড তাঁর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নাম। 


এনাদের প্রত্যেকেই মানুষের সেবার পথটাই বেছে নিয়েছিলেন শেষ পর্যন্ত। চূড়ান্ত স্তরের পড়াশোনা করলেও শেষ পর্যন্ত ওই জীবনই তাদের টানে।


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন - Fish Prasadam: হাঁপানি সারবে জ্যান্ত মাছ গিললে ? কেন এই আজব পথ্য দীর্ঘ দিন ধরে জনপ্রিয় ?