কলকাতা: 21শে সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস (International Peace Day) পালিত হয়। জাতিসঙ্ঘের (United Nations) সাধারণ পরিষদ (General Assembly) ২৪ ঘণ্টার জন্য অহিংসা ও যুদ্ধবিরতি পালন করে জাতি ও জনগণের মধ্যে শান্তির আদর্শ প্রচার করে দিবসটিকে চিহ্নিত করে। এবারের থিম হচ্ছে 'বর্ণবিদ্বেষের অবসান। শান্তি গড়ে তুলুন।' (End racism. Build peace)


কী বলছে জাতিসঙ্ঘ:
জাতিসঙ্ঘের মতে, সত্যিকারের শান্তি কেবল হিংসার অনুপস্থিতিই নয়, বরং এমন একটি অবস্থার, এমন একটি সমাজের সৃষ্টি করে যেখানে সকল নাগরিক বা বাসিন্দা মনে করেন যে তাঁরা উন্নতি করতে পারবেন। এমন একটি বিশ্ব গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হয় যেখানে কারও সঙ্গে কোনওরকম অত্যাচার না করা হয়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমান আচরণ করা হয়। ১৯৮১ সালে জাতিসঙ্ঘ এই দিনটির ঘোষণা করে। মানবতার জন্য, সমস্ত পার্থক্য সরিয়ে রেখে শান্তি প্রতিশ্রুতি গড়তে এবং শান্তির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চেয়ে বিশ্বব্যাপী একটি দিন স্থির করা হয়।


কীভাবে পালন:
বিশ্ব শান্তি দিবস (World Peace Day) নামেও পরিচিত এই দিনটি, এটি পরে ২০০১ সালে ২১ সেপ্টেম্বর দিনটিতে  আনুষ্ঠানিক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তার আগে পর্যন্ত, এটি সেপ্টেম্বরের তৃতীয় মঙ্গলবার বার্ষিক সাধারণ পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশনে পালিত হয়েছিল। দিনটিকে মনে করার জন্য, নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরে 'শান্তি ঘণ্টা' (Peace Bell) বাজানো হয়। শান্তি ঘণ্টাটি ১৯৫৪ সালের জুনে জাতিসঙ্ঘের জাপান অ্যাসোসিয়েশন দিয়েছিল। জাতিসঙ্ঘের সদস্য রাষ্ট্র, পোপ এবং ৬০টিরও বেশি শিশুদের দান করা মুদ্রা এবং পদক থেকে ঢালাই করা হয়েছিল এই শান্তি ঘণ্টা। বেল টাওয়ারটি 'হানামিডো' (ফুল দিয়ে সজ্জিত একটি ছোট মন্দির) এর আদলে তৈরি করা হয়েছিল যা গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থানের প্রতীক।






শান্তি ঘণ্টাটি বছরে দুবার বাজানো হয়: বসন্তের প্রথম দিনে এবং ২১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উদযাপন করতে। শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক দিবসে, জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব, স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধি এবং জাতিসঙ্ঘ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বিশ্ব শান্তির জন্য প্রার্থনা করার জন্য ঘণ্টা বাজিয়ে দেন।


আরও পড়়ুন: উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, নতুন করে আক্রান্ত ৯৬৫ জন