কলকাতা: কখনও যুদ্ধ, দারিদ্র (Poverty), প্রাকৃতিক দুর্যোগের (Natural Disaster) মতো কারণে বাধ্য হয়ে। কখনও একটু ভাল করে বাঁচার জন্য এক দেশ থেকে আর এক দেশে। এক মহাদেশ থেকে আর এক মহাদেশে পাড়ি দেন বহু মানুষ। কখনও নিশ্চিত ভবিষ্য়তের জন্য় বা আরও ভাল সুযোগের জন্য়ও এভাবে এক জায়গায় থেকে আর এক জায়গায় অনেকে। এদেরই বলা হয় Migrants বা পরিযায়ী।


পরিযায়ীদের মানবাধিকার যাতে লঙ্ঘিত না হয় তা নিয়ে নানা সময় নানা আলোচনা হয়েছে। পরিযায়ী হওয়ার পিছনে নানা আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণ দায়ী থাকে। বিশ্বজুড়ে হওয়া এমন ঘটনার দিকে নজর আনার জন্য়ই একটি বিশেষ দিন বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর পালিত হয় আন্তর্জাতিক পরিযায়ী দিবস (International Migrants Day).


UN-এর তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ দশক ধরে ক্রমশ আন্তর্জাতিক পরিযায়ীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভয়াবহ দারিদ্র, অর্থনৈতিক ডামাডোল, হিংসা-যুদ্ধ-গৃহযুদ্ধ, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকে। এখনও পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী ২৮১ মিলিয়ন নাগরিক নিজের জন্মভূমি ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে থাকেন। তাঁদের যে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, তা যে এখনও মেটানো যায়নি, তার উপর জোর দেওয়া হয়। বিশ্বজুড়ে যাঁরা নীতি তৈরি এবং প্রণয়ন করেন তাঁরা যাতে এই সমস্যাগুলি নিয়ে ভাবেন এবং সমাধান সূত্র বের করেন তা নিয়ে সচেতনতা তৈরি করা হয়।       


ইতিহাস:
২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর ইউনাইটেড নেশনস জেনারেল অ্য়াসেম্বলি (UNGA) স্থির করে যে ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক পরিযায়ী দিবস (International Migrants Day) পালন করা হবে। ১৯৯০ সালে UNGA -এর তরফে International Convention on the Protection of the Rights of All Migrant Workers and Members of Their Families গ্রহণ করা হয়।


গুরুত্ব:
সব পরিযায়ীদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং সামাজিক কল্যাণের কথার তুলে ধরার জন্য পালিত হয় এই দিনটি। সব দেশের প্রশাসনের তরফে তাঁদের মানবাধিকার সুরক্ষিত করা, বৈষম্য না করার কথা তুলে ধরা হয়। কীভাবে এই কাজ করা হবে, তা নিয়ে আলোচনার উপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়।  


আরও পড়ুন: ভারতে এই 'ট্রেনে চড়লেই ১৯ লাখ', কী আছে এই ট্রেনে, কোথায় চলে?