মথুরা: ইস্কনের সমস্ত মন্দিরেই সেবায়িতদের কারো কারো দায়িত্ব থাকে প্রণামি সংগ্রহ করা এবং তা নিজের দায়িত্বে রক্ষণাবেক্ষণ (ISKCON Temple) করা। ভক্তরা যে লক্ষ লক্ষ টাকা দান করছেন, তার যথাযথ রসিদ কেটে ভাণ্ডারে সঞ্চিত রাখার দায়িত্ব থাকে কারো কারো। এমনই এক ইস্কনের সেবায়িত কর্মী সম্প্রতি শনিবার প্রণামির বাক্স থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা এবং রসিদের বই (Donation Money) সমস্ত নিয়ে পালিয়ে যান। সেই কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। মথুরার ইস্কন মন্দিরে ঘটেছে এই ঘটনা।


মথুরার পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট জানিয়েছেন, সেই ইস্কন মন্দিরের চিফ ফিনান্স অফিসার বিশ্বনাম দাস শুক্রবার মধ্যরাতে এফআইআর দায়ের করেছেন সেই কর্মীর বিরুদ্ধে। তিনি জানান, বিশ্বনাম দাস ২৭ ডিসেম্বর পুলিশ সুপার শৈলেশ কুমার পাণ্ডের কাছে এই চুরির ঘটনা বিবৃত করে অভিযোগ দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্তের পরেই পুলিশের তরফে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। মন্দিরের পিআরও রবিলোচন দাস বলেন, পলাতক ব্যক্তির নাম মুরলীধর দাস যার দায়িত্ব ছিল দানের টাকা প্রণামির টাকা সংগ্রহ করা এবং সময়ে সময়ে মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে তা জমা করা।


তিনি জানান, 'ভাল মত নিরীক্ষণের পরেই জানা যাবে যে ঠিক কত টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন মুরলীধর দাস নামের সেই ইস্কন কর্মী'। এফআইআর থেকে জানা গিয়েছে, নিমাই চাঁদ যাদবের সন্তান মুরলীধর দাস মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের রউগঞ্জ ভাসার শ্রীরাম কলোনির বাসিন্দা। তিনি শুধু যে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছেন তাই নয়, সঙ্গে চুরি করে নিয়েছেন মন্দিরের প্রণামির রসিদ বইটিও যাতে ৩২টি পাতা ছিল সর্বসাকুল্যে। পিআরও জানান যে এর আগেও সৌরভ দাস নামে এক সেবায়িত একইভাবে প্রণামির টাকা ও রসিদ নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু তাঁকে ধরার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।


রিপোর্ট অনুযায়ী এফআইআরে লেখা হয়েছে যে মুরলীধর দাসকে এর আগে অনেকবার ইস্কনের অন্য সেবায়িতরা জানিয়েছিলেন তিনি যেন সমস্ত লেনদেনের রসিদ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা করেন, কিন্তু সেই কাজে অবহেলা করছিলেন তিনি, এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। একদিন তাঁর উপর কড়া নিয়ম আরোপ করলে হঠাৎ করেই উধাও হয়ে যান মুরলীধর, এমনকী তাঁকে সেই সমস্ত টাকা জমা দেওয়ার জন্য কড়া আদেশ দেওয়ায় মন্দিরের এক আধিকারিককে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি।


আরও পড়ুন: Weight Loss: ৪ মাসে ওজন ঝরিয়েছেন ২৭ কেজি ! দ্রুত ফ্যাট কমানোর ৩ সিক্রেট বলে দিলেন এই তরুণ