গোরক্ষপুর: বিয়ের মন্ত্র পড়া শুরু করে দিয়েছিলেন পুরোহিত। সেই সময়ই পিঁড়ি থেকে উঠে শৌচালয়ে যান কনে। কিন্তু সেই যে শৌচালয়ে ঢুকলেন, আর বেরনোর নাম নিলেন না। দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষার পরও যখন বেরোলেন না কনে, কী ব্যাপার দেখতে গেলেন সকলে। কিন্তু তন্নতন্ন করে খুঁজেও পাওয়া গেল না কনেকে। নগদ টাকা, গয়না নিয়ে তত ক্ষণে চম্পট দিয়েছেন তিনি। (Viral News)
উত্তর প্রদেশের খজনী এলাকার ঘটনা। সেখানকার বাহোরিয়ায় শিবমন্দিরে বিয়ের আসর বসেছিল। কিন্তু বিয়ে ঘিরে নাটকীয় পরিস্থিতি দেখা দেয়। বিয়ের আচারানুষ্ঠান চলাকালীনই চম্পট দেন কনে। হুলস্থুল পড়ে যায় এই ঘটনায়। কনের পালিয়ে যাওয়া নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন পাত্র নিজে। (Uttar Pradesh News)
৪০ বছর বয়সি কমলেশ কুমারের আগে একবার বিয়ে হয়েছিল। স্ত্রী গত হওয়ার পর দ্বিতীয় বার বিয়ের পিঁড়িতে বসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু তাতে এমন পরিস্থিতি দেখা দেবে, কল্পনাও করতে পারেননি কমলেশ। কারণ টাকাপয়সা, গয়নাগাঁটি সব নিয়ে বিয়ের মণ্ডপ থেকে চম্পট দেন কনে। মণ্ডপ থেকে খালিহাতেই ফিরে আসতে হয় তাঁকে।
কমলেশ সীতাপুরের গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। দ্বিতীয় বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজেপেতে ঘটককে ৩০ হাজার টাকা কমিশনও দিয়েছিলেন। কনের জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন গয়না। বিয়ের যাবতীয় খরচ-খরচাও নিজের গাঁট থেকেই বের করেছিলেন। গোড়ায় সব ঠিকই চলছিল। মায়ের সঙ্গে বিয়ের মণ্ডপে হাজির হন কনে। কমলেশও নিজের পরিবারের সঙ্গে গিয়ে পৌঁছন মন্দিরে।
লগ্ন মেনে শুরু হয় বিয়ের আচারানুষ্ঠান। পুরোহিত মন্ত্রপাঠ শুরু করেন। সেই সময়ই হঠাৎ শৌচালয়ে যেতে হবে বলে জানান কনে। কেউ তাঁকে আটকাননি। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও মণ্ডপে আর ফিরে আসেননি কনে। কী ঘটল দেখতে গিয়ে আসল সত্য বুঝতে পারেন সকলে। কনে পালিয়ে যাওয়া নিয়ে যদিও এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি কমলেশ।
সংবাদমাধ্যমে কমলেশ জানান, নতুন করে সংসার পাততে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা করতে গিয়ে সব হারাতে হল তাঁকে। কমলেশ জানিয়েছেন, শাড়ি, গয়না, প্রসাধনী, সব দিয়েছিলেন কনেকে। বিয়ের খরচের ভারও নিজের কাঁধেই তুলে নেন। কমলেশ যদিও অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। গোটা ঘটনায় তাজ্জব স্থানীয়রা।