Airlines: বোয়িং ৭৩৭ বিমান হঠাৎ করেই ২৬ হাজার ফুট নিচে নেমে আসে। সাংহাই থেকে টোকিও যাওয়ার বিমানে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ! তুমুল আতঙ্কের মধ্যে যাত্রীদের অক্সিজেন মাস্ক দিতে হল। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ত সংবাদপত্র অনুসারে জাপান এয়ারলাইনস এবং এর সাশ্রয়ী সহযোগী সংস্থা স্প্রিং জাপানের মধ্যে একটি কোড শেয়ার চুক্তির অধীনে পরিচালিত বিমানটি সোমবার কানসাই বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। কারণ মাঝ আকাশেই বিমানটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা যায়। বিমানে ছিলেন ১৯১ জন যাত্রী এবং ক্রু সদস্যরা। আর এই বিমানটিই ১০ মিনিটের মধ্যে প্রায় ৩৬ হাজার ফুট থেকে ১০,৫০০ ফুট উচ্চতায় নেমে আসে।
যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হয় অক্সিজেন মাস্ক আর এতে অনেকেই ভেবে বসেন যে বিমানটি ক্র্যাশ করতে চলেছে। তবে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল মূলত বাতাসের চাপের মাত্রার বদলে কারও যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই জন্য। বিমানবন্দরে নিরাপদে সেই বিমান ল্যান্ড করার পরেই সমাজমাধ্যমে অনেক যাত্রী এই অভিজ্ঞতাকে 'প্রাণের ঝুঁকি' বলে দাবি করেছেন। এক যাত্রী লিখেছেন, 'আমার শরীর এখনও এখানে আছে, কিন্তু আমার আত্মা কিছুক্ষণ সাড়াও দেয়নি। আমার পা এখনও কাঁপছে। আপনি মৃত্যুর মুখোমুখি হলে অন্য সব কিছু তুচ্ছ মনে হয়।'
আবার অন্য এক যাত্রী এই বিমানের অবতরণের ঘটনাকে আকস্মিক বলে ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন যে সন্ধে সাতটার দিকে বিমানটি হঠাৎ করে নিচে নামতে শুরু করে এবং মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই তা ৩ হাজার মিটার নিচে নেমে যায়। এমনকী সংবাদসূত্রে এও জানা গিয়েছে যে এক যাত্রী সেই সময় কান্নায় ভেঙে পড়ে উইল লিখতে শুরু করেছিলেন এবং নিজের বিমা ও ব্যাঙ্কের পিন লিখে পাঠানোর চেষ্টা করছিলেন।
ওসাকাতে এই বিমান অবতরণের সময় কোনও আহত বা আঘাতের খবর পাওয়া যায়নি। বিমানে থাকা ব্যক্তিদের পরিবহন ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৫ হাজার ইয়েন অর্থাৎ ১০৪ ডলার করে দেওয়া হয়, এমনকী এক রাতের থাকার ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয় সকলকে। কেন এই দুর্ঘটনা ঘটল তা জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। সোমবার জরুরি অবতরণের সঙ্গে জড়িত বোয়িং ৭৩৭ সিরিজের বিমানটি বিশ্বব্যাপী অসংখ্য নিরাপত্তা জনিত ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় জেজু এয়ারের একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান ধ্বংস হয়ে যায়। এই ঘটনায় মোট ১৭৯ জন মানুষ মারা যান এবং মাত্র দুজন ক্রু সদস্য প্রাণে বেঁচে যান।