কলকাতা: হলুদ ট্যাক্সি, হাওড়া ব্রিজ, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, গঙ্গার পাড়-- কলকাতা বললেই যেন চোখের সামনে সিনেমার মতো পরপর ভেসে চলে যায় এই জায়গাগুলির ছবি। প্রি-ওয়েডিং শ্যুটে বা শিল্পীর ক্যানভাসে বারবার ধরা দেয় এই জায়গাগুলি। ভিন দেশে, ভিন রাজ্যে থাকলেও যেন আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকে এই শহর।
বৈশাখের তপ্ত দুপুর, বর্ষাকালের নানা ছন্দের বৃষ্টি দেখে অভ্যস্ত কলকাতা। শীতের মরসুম বলতে হাতে গোনা কয়েকটা দিন। তাতেই আলমারি থেকে বেরিয়ে পড়ে হাল ফ্যাশানের জ্যাকেট, সোয়েটার-মাফলার। সেই শহরই যদি হঠাৎ তুষারে মুড়ে যায়?
যদি কলকাতায় রাস্তায় বরফ পড়ে থাকে? যদি ইউরোপের বা আমেরিকার কোনও শহরের মতো বরফে মোড়া থাকে কলকাতা? যদি ভিক্টোরিয়ার চূড়া ঢেকে যায় বরফে? তাহলে কেমন হবে? শীতকাতুরেদের বেশি ভয় পাওয়ার দরকার নেই। কারণ এই সবই হয়েছে শিল্পীর কল্পনায় এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial intelligence) হাতযশ থুড়ি যন্ত্রযশে।
শিল্পী কে?
এই এআই (AI) ইমেজ তৈরি করেছেন শিল্পী সৌভিক ঘোষ। সেই ছবিগুলি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন অংশুমান চৌধুরী (@angshuman_ch) নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী। তারপরে থেকেই এগুলি ভাইরাল।
ছবি বানিয়েছেন অংশুমানও:
শৌভিকের ছবি দেখার পরেই একটি সফটওয়ার ব্যবহার করে আরও কিছু ছবি বানান সেখানে কলকাতার কিছু জায়গা, পুরনো দিল্লি ও নতুন দিল্লিতে কিছু জায়গার বরফাবৃত ছবি বানান। বরফে ঢাকা ইন্ডিয়া গেট, বরফে ঢাকা কলকাতার ট্রাম, এসপ্ল্যানেড চত্বর বরফে ঢেকে গেলে কেমন লাগবে সেটাই কল্পনা করেছেন তিনি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। দৈনন্দিন জীবনযাপন সহজ করতেও AI-কতটা সাহায্য করতে পারবে, তা নিয়ে এখন গবেষণা চলছে। ইদানিং ছবি আঁকা বা ডিজাইন তৈরির মতো সৃজনশীল কাজেও ব্য়বহার করা হচ্ছে বিভিন্ন AI সফটওয়ার। কদিন আগে এমনই কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছিল। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা কেমন দেখতে হবেন? সেটাই বানানো হয়েছিল AI-এর মাধ্যমে। সোশ্য়াল মিডিয়ায় সেগুলিও ভাইরাল হয়েছিল। প্রশংসা থেকে সমালোচনা সবই জুটেছিল শিল্পীর।