কর্ণাটক: সকাল, দুপুর, রাত। তিনবেলা শুধু ম্যাগি ম্যাগি আর ম্যাগি (Maggi)। এছাড়া আর কিছুই রাঁধেন না স্ত্রী। ব্যাস। ওমনি ইনস্ট্যান্ট নুডলসে (Instant Noodles) তিতিবিরক্ত হয়ে ইনস্ট্যান্ট ডিভোর্স (Instant Divorce) ঘোষণা করে বসলেন কর্ণাটকের বল্লরির (Ballari) যুবক। অ্যাঁ নয়, হ্যাঁ। সত্যিই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন এক দম্পতি।


'ম্যাগি কেস'


সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন সবকিছুই চটজলদি। কত তাড়াতাড়ি রান্না সেরে, খেয়ে কাজে মন দেওয়া যায় সেই চিন্তায় থাকেন সকলে। ফলে এখন ইনস্ট্যান্ট নুডল ম্যাগির চাহিদাও আকাশছোঁয়া। দুই মিনিটে ম্যাগি তৈরিও হয়ে যায়, খেলে পেটও ভরা থাকে অনেকক্ষণ। সেই টোটকাই কাজে লাগাচ্ছিলেন এই স্ত্রী। এছাড়া তার আরও এক 'দোষ', তিনি আর কিছু রাঁধতে জানেন না।


এইসব দেখেই বিচারপতি এমএল রঘুনাথের দ্বারস্থ তাঁর স্বামী। ডিভোর্স চাই তাঁর। বিচারপতির কথায়, 'স্বামীর কথায় তাঁর স্ত্রী ম্যাগি ছাড়া অন্য কোনও খাবার রাঁধতে পারেন না। জলখাবার, লাঞ্চ, ডিনার, সবেতেই ম্যাগি খেতে হত। বাজার গিয়েও নাকি কেবল ম্যাগিই আনতেন স্ত্রী।' একইসঙ্গে তিনি জানান যে 'ম্যাগি কেস'-এর সমাধান করা যায়নি এবং মিউচুয়ালি তাঁরা বিচ্ছেদে মত দেন।


মাইসুরু জেলায় পাঁচটি পারিবারিক আদালত রয়েছে, প্রতিটিতে প্রায় ৫০০টি করে বিবাহ সংক্রান্ত মামলা রয়েছে এবং তাদের মধ্যে প্রায় ৮০০টি বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য মামলা রয়েছে।


বিচারপতির কথায়, 'বিগত কিছু বছরে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা প্রচুর বেড়েছে। সাধারণত দম্পতিকে এক বছর অন্তত এক ছাদের তলায় থাকতে হয় ডিভোর্স নেওয়ার আগে। যদি এমন কোনও আইন না থাকত তাহলে হয়তো বিয়ের পিঁড়ি থেকেই সোজা বিচ্ছেদের মামলা করতে দেখা যেত।'


কিন্তু স্ত্রী বা মহিলা মানেই কি তাঁকে সব রান্নাবান্না জানতে হবে? আর তা না জানলেই বিচ্ছেদের পেপার ধরানো হবে হাতে? এই সমস্ত প্রশ্ন যখন উঠছে তখন এই কথাও বলা হচ্ছে যে এখন মহিলারা সফল ও সাবলম্বী হওয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ তাঁদের ভীত করতে পারে না।