Job Application: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এসে আমাদের জীবনকে অনেক বেশি সহজ করে দিয়েছে যেন। পরিশ্রম আর সেভাবে করতেই হয় না। আর যে কাজ (Viral News) মানুষের করতে কয়েক ঘণ্টা লাগত, সেই একই কাজ মুহূর্তের মধ্যে করে দিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কনটেন্ট ক্রিয়েশন হোক, স্ক্রিপ্ট লেখা হোক কিংবা চাকরির জন্য সিভি তৈরি করাই হোক, এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অনেকক্ষেত্রেই মানুষের কাজ সহজ করে দিয়েছে। এমনই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Job Application) সাহায্যে এক ব্যক্তি ১ হাজারেরও বেশি সংস্থায় চাকরির আবেদন করেছিলেন, আর ঘুম থেকে উঠেই চমকে যান তিনি। সমাজমাধ্যমে এই ব্যক্তির পোস্টকে ঘিরেই তুমুল শোরগোল চলছে। এআইকে তিনি নিজের পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট বানিয়ে ফেলেছেন এভাবেই।
ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই ১০০০ চাকরির আবেদন
এখন কোনো চাকরির জন্য আবেদন করা মোটেও কঠিন কাজ নয়। কিন্তু খুব নিষ্ঠার সঙ্গে এই কাজ করতে হয়, একটু ভুল হলেই আবেদন বাতিল হয়ে যেতে পারে। সারা দিন রাত পরিশ্রম করেন অনেকেই একটি চাকরি পাওয়ার জন্য। এমনকী রাতের ঘুমও উড়ে যায় তাদের। আর এদিকে এই ব্যক্তি রাতে ঘুমাতে ঘুমাতেই ১ হাজারেরও বেশি চাকরিতে আবেদন করলেন আর তাও এর জন্য একটি আলাদা এআই বট বানিয়েছিলেন তিনি। সেই ব্যক্তির হয়ে সব কাজ করে দিয়েছে।
রেডিট প্ল্যাটফর্মে এই অভিজ্ঞতা জানিয়ে ব্যক্তি বলেন, বাড়িতে বসেই তিনি এই এআই বট বানিয়ে ফেলেছিলেন এবং তা তাঁকে চাকরি খুঁজতে অনেক সহায়তা করেছে। আর তিনি বিছানায় যখন ঘুমিয়েছিলেন, সেই সময় সমস্ত কাজ এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিজেই করে দিয়েছে।
এক মাসে ৫০ ইন্টারভিউতে ডাক
রেডিটে এই ব্যক্তি জানান, এই এআই বট আদপে ব্যক্তির বা প্রার্থীর সমস্ত তথ্য যাচাই করে, চাকরির যে বিবরণ তা খুঁটিয়ে পড়ে এবং সেই ভিত্তিতে আলাদা আলাদা সিভি প্রস্তুত করে। এমনকী আলাদা আলাদা কভার লেটারও তৈরি করে। চাকরির বিজ্ঞাপন অনুযায়ী সিভি প্রস্তুত করে আবেদন পাঠায় এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এছাড়াও চাকরিদাতার জটিল প্রশ্নের উত্তরও দিয়ে দেয় এই এআই বট। তিনি জানিয়েছেন, এক মাসের মধ্যে ৫০টিরও বেশি ইন্টারভিউর ডাক পেয়েছেন তিনি যা এক কথায় অসম্ভব।
আরও পড়ুন: Gold Rate: সপ্তাহান্তে সোনা কিনতে চান ? বাংলায় আজকের দামে কিনলে কত সাশ্রয় হবে ?