মোহালি:  ফাস্ট-ফুড বা স্ট্রিট ফুড খেতে কে না ভালবাসে ! আর এখনকার দিনে স্ট্রিট ফুডের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় খাবার হল মোমো। ভেজ, নন-ভেজ দুই রকমেরই মোমো হয়। নন-ভেজ মোমোয় কোথাও মাংস, কোথায় ভেটকি মাছ পুর দেওয়া হয়। কিন্তু যদি আপনাকে বলা হয় সেই মোমোর (Momo Factory) ভিতরে দেওয়া হয়েছে কুকুরের মাংস ? ঘেন্নায় আপনিও মুখ চাপবেন। আর এমন সন্দেহের তির উঠেছে মোহালির এক মোমো ফ্যাক্টরিতে। পঞ্জাবের মোহালির (Mohali News) একটি মোমো কারখানার ফ্রিজ থেকে পাওয়া গিয়েছে আসত একটা কুকুরের কাটা মাথা।


কীভাবে পাওয়া গেল


মাতাউরের একটি মোমো ফ্যাক্টরিতে মোহালির (Momo Factory) বেশ কিছু আধিকারিক হঠাৎ করেই অভিযান চালায় এবং সেই অভিযানের সময়েই ফ্যাক্টরির ফ্রিজ থেকে বেরিয়ে আসে কুকুরের কাটা মাথা। আর এই ঘটনার পরেই ব্যাপক তদন্ত শুরু হয়েছে। দফতরের পক্ষ থেকে অস্বাস্থ্যকর খাদ্য উৎপাদন ধরার জন্য অভিযান চালায়। এই অভিযান চলাকালীন বিপুল পরিমাণ খাবার নষ্ট করেন আধিকারিকরা কারণ সেগুলি গুণমানসম্পন্ন ছিল না। আর তারপর এই মোমো ফ্যাক্টরির ফ্রিজ থেকে কুকুরের কাটা মাথা উদ্ধার করে আধিকারিকরা নিজেরাই আশ্চর্য হয়ে গিয়েছেন। এই কারখানার কর্মীরা কুকুরের মাংস খেয়েছেন নাকি গ্রাহকদের এই মাংস খাইয়েছেন তা নিয়েই তৈরি হয় সন্দেহ।


রবিবার স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের পরে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে একটি দল একটি বাড়ির ভিতর চলা মোমো কারখানায় অভিযান চালায়। আর যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে তাতে মোমো প্রস্তুতকারীদের (Momo Factory) নোংরা অপরিস্কার জল এবং পচা সবজি ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে এই কারখানা থেকেই চণ্ডীগড়, পঞ্চকুলা এবং কালকায় মোমো সরবরাহ করা হয়। গত ২ বছর ধরে চলছিল এই কারখানাটি। এখান থেকে প্রতিদিন এক কুইন্টালেরও বেশি মোমো, স্প্রিং রোল তৈরি করে চণ্ডীগড়, পঞ্চকুলা এবং কালকায় সরবরাহ করা হত। এই কারখানার ভিতরে অভিযানকারী দল বরফ জমা মাংস, ক্রাশার মেশিন এবং পুনর্ব্যবহৃত রান্নার তেল খুঁজে পেয়েছে। ফ্রিজের ভিতরে এখানেই মেলে সেই কুকুরের কাটা মাথা।


তবে কারখানার লোকদের বক্তব্য যে এই মাংস কোনওভাবেই গ্রাহকদের খাদ্যে ব্যবহার করা হয়নি, তবে কারখানায় কর্মরত নেপালি কর্মীদের খাবার হিসেবে রাখা হয়েছিল। তবে এই বিষয়ে ব্যাপক তদন্ত শুরু হয়েছে।