US Influencer: সমাজমাধ্যমে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের ট্রেন্ড আসতে থাকে। আর এই ট্রেন্ডকে আরও বাড়িয়ে তোলেন ইনফ্লুয়েন্সাররা নিজেরাই। কিন্তু এই ধরনের ট্রেন্ডকে চোখ বন্ধ করে মেনে চললে বিপদ বাড়তে পারে। বলা যেতে পারে ভয়ঙ্কর পরিণতি (Viral Diet) হতে পারে এর ফলে। এমনই এক ইনফ্লুয়েন্সার (US Influencer) ভাইরাল ডায়েট চার্ট মেনে চলতে গিয়ে চরম পরিণতির শিকার হলেন। মারাত্মক মাত্রায় প্রোটিন খাওয়ার ফলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হল তাঁকে আর সেখানে যেতেই ধরা পড়ল কঠিন রোগ।


আমেরিকার ডালাসের এক ইনফ্লুয়েন্সার ইভ ক্যাথারিন মেনে চলছিলেন এক ভাইরাল ডায়েট চার্ট, কিছুদিন আগেই সমাজমাধ্যমে এই ডায়েট খুব ভাইরাল হয়েছিল যেখানে শুধুমাত্র জোর দেওয়া হত প্রাণীজ প্রোটিনের উপরে। গোমাংস, শুয়োরের মাংস, পোল্ট্রি মুরগির মাংস, মাছ ও অন্যান্য প্রাণীজ খাদ্যের উপরে জোর দেওয়া হত এই ডায়েট চার্টে। বহু ইনফ্লুয়েন্সার এই ডায়েটের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে এই ধরনের ডায়েট শরীরে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।


টিকটকে ইভ ক্যাথারিন তার নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। কী খেতেন তিনি এই ডায়েটে ? রোজ ব্রেকফাস্টে ২-৩টি ডিম, লাঞ্চে হাই প্রোটিন দই, আর ডিনারে খেতেন নিউইয়র্ক স্ট্রিপ স্টিক। একবার একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় চিকিৎসক লক্ষ্য করেন যে তার প্রস্রাবের মধ্যে অতিরিক্ত প্রোটিন নির্গত হচ্ছে। সেই সময় থেকেই শুরু হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এভাবেই একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার প্রস্রাব দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগে ছোটেন তিনি, তাঁকে মরফিন দেওয়া হয় এবং তখনই তার কিডনি স্টোন ধরা পড়ে।


ভিডিয়োতে ইভ জানান, 'একদিন আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার প্রস্রাবের সঙ্গে বেরোচ্ছে রক্ত।' তিনি এও স্বীকার করেছেন যে তিনি প্রোটিনে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরে তিনি জানান যে এই ভাইরাল 'কার্নিভোর ডায়েট' আসলে ভুয়ো একটা ব্যাপার এবং তার অনুরাগীদের এই ডায়েট থেকে সতর্ক থাকতে বলেন। তিনি উল্লেখ করেন যাতে তার অনুরাগীরা কেউই খুব বেশিমাত্রায় প্রোটিন না খান।


এর অনেক আগে থেকেই চিকিৎসকরা, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অতিমাত্রায় প্রোটিন খাওয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। আর যে সমস্ত ব্যক্তিদের আগে থেকেই কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় প্রোটিন খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ হাই প্রোটিন ডায়েটে চাপ পরে কিডনির উপরে। আর এই ধরনের ডায়েটে ফাইবার কম থাকায় হজমের সমস্যাও দেখা যায়।