নয়া দিল্লি: মোমো খেতে পছন্দ করে না, এমন মানুষ চট করে পাওয়া যায় না। সকালের ব্রেকফাস্ট হোক বিকেল কিংবা সন্ধ্যের স্ন্যাক্সে এই আইটেমটি কম বেশি সকলেরই জনপ্রিয়তার তালিকায়। স্ট্রিট ফুডে এই খাবার বেস্ট অপশন অনেকের কাছেই।                     


বর্তমানে এই মোমো অনেক রকমের। স্টিমড মোমোর পাশাপাশি ফ্রায়েড মোমো কিংবা কোথে মোমোরও জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। শুধু চিকেন নয়, নানা রকমের পুর দেওয়া মোমোও পছন্দ করেন অনেকে। এমনকী বাজারে এসেছে চকলেট মোমোও। আর এহেন মোমো বিক্রি করে এক স্ট্রিট ফুড বিক্রেতা মাসে যে আয় করেন তা শুনলে চমকে যেতে হয়। 


সোশাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় এক কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি একটি মোমোর দোকানে যান এবং সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত কত বিক্রি হল মোমো এবং সেখান থেকে কত আয় হয়েছে ওই মোমো বিক্রেতার তা তিনি জানিয়েছেন দর্শকদের। যা দেখে শুনে নেটিজেনদের চক্ষু ছানাবড়া। 


সার্থক সচদেভার ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ওই দোকানে এক প্লেট মোমোর দাম ৬০টাকা। আর ফ্রায়েড মোমোর এক প্লেটের দাম ৮০ টাকা। মোমো বিক্রেতা জানান,  সারাদিনে তার ১২১ প্লেট মতো স্টিম মোমো বিক্রি হয় আর ৭০ থেকে ৮০ প্লেট মতো ফ্রায়েড মোমো বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও তার ওখানে তন্দুরি মোমোও আছে।


আরও পড়ুন, মোমো খেয়ে মৃত্যু মহিলার, একই মোমো খেয়ে ভয়ঙ্কর অসুস্থ ২০ জন






হিসেব করলে দেখা যায় তার দিনে আয় ওই ১৩৫০০ মতো। মোমো বানাতে কাঁচামাল বাবদ খরচ আছে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ বাকি থাকবে ওই ৬৫০০ মতো। সেক্ষেত্রে মাসিক আনুমানিক আয় প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। খরচ বাদ দিলে প্রায় ২ লক্ষ টাকারও বেশি আয় মাসে।  বছরে ২৫ লক্ষের কিছু বেশি। 


এই ভিডিও জনপ্রিয় হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে এমবিএ পাশ করা কিংবা চাকুরিরত ব্যক্তিদের মতে, এত কিছু করেও এত টাকা তাঁরা আয় করতে পারছেন না। ফলে ভাবছেন মোমোর দোকান দেবেন কি না। 


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে