মুম্বই: দক্ষতা নয়, ভারতের মতো দেশে আজও নম্বর দেখে প্রতিভার বিচার হয়। বোর্ড পরীক্ষায় তাই ইদানীং কালে নম্বর নিয়ে হুড়োহুড়ি চোখে পড়ে (Board Exams)। ১০০ শতাংশ নম্বর পাওয়াও আজকের দিনে বড় কথা নয়। এই ইঁদুর দৌড়ে শমিল না হয়েই উদাহরণ তৈরি করলেন মুম্বইয়ের এক দম্পতি। মাধ্যমিকে ৩৫ শতাংশ পেয়ে পাশ করা ছেলের সাফল্য উদযাপন করলেন তাঁরা (Viral News)। 


ওই ছাত্র মুম্বইয়ের একটি মারাঠি মিডিয়াং স্কুলের পড়ুয়া। সদ্য প্রকাশিত বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফলে ৩৫ শতাংশ পেয়েছে সে। ছয়টি বিষয়েই এক নম্বর। কিন্তু তাঁকে বকাঝকা, মারধর তো দূর, বরং বুকে টেনে নিয়েছেন মা-বাবা। ছেলের প্রাপ্ত নম্বর শুভান্যুধ্যায়ীদের ফলাও করে দেখিয়েছেন তাঁরা। ক্যামেরার সামনে পোজও দিয়েছেন হাসিমুখে। 


IAS অফিসার অবনীশ শরণ ওই পরিবারের আনন্দের মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। ট্যুইটারে হিন্দিতে অবনীশ লেখেন, 'মুম্বইয়ের এক দশম শ্রেণির ছাত্র পরীক্ষায় ৩৫ শতাংশ পেয়ে পাশ করেছে। তাতে দুঃখিত বা ক্ষুব্ধ হওয়ার পরিবর্তে, ওই পড়ুয়ার মা-বাবা ছেলের সাফল্য উদযাপন করেছেন'।



ওই পড়ুয়ার মা-বাবার প্রতিক্রিয়ায় উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে নেট দুনিয়াতেও। ছেলেকে ইঁদুর দৌড়ে শামিল না করে, জীবনের প্রথম বোর্ড পরীক্ষায় তাঁর সাফল্যকেই যে গুরুত্ব দিচ্ছেন মা-বাবা, তা ইতিবাচক বলে মনে করছেন অধিকাংশই। একজন তাই লেখেন, 'ওই পড়ুয়াকে অভিনন্দন। ওঁর মা-বাবার উষ্ণ প্রতিক্রিয়া দেখে সত্যিই ভাল লাগল'। 


আরও এক ব্যক্তি ট্যুইটারে লেখেন, 'অসম্ভব ভাল মানসিকতা। ভাল নম্বর পাওয়ার জন্য ছেলেমেয়ের উপর চাপসৃষ্টি করা উচিত নয় মা-বাবার। জীবনকে ইতিবাচক ভঙ্গিতে দেখা উচিত। মা-বাবা অত্যধিক চাপ দিলে, ছেলেমেয়ে উৎকণ্ঠায় ভোগে, দুশ্চিন্তা গ্রাস করে। নিজেদের যোগ্যতা নিয়ে ধন্দ জাগে নিজের মনেই'।



এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী আবার জানান, তিনি মাধ্যমিকে ৪৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। তাতেই তাঁর মা এক কেজি বেসনের লাড্ডু কিনে পাড়ায় বিলি করেন। পাশে থাকার জন্য় মাকে ধন্যবাদও জানান তিনি। শুধু পরীক্ষায় ভূরি ভূরি নম্বর পেলেই হয় ন, জীবনে ভাল মানুষ হওয়ায় সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বলে মতা নেট জগতের অধিকাংশের। তাই ওই পড়ুয়ার মা-বাবার প্রতিক্রিয়াকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।