নয়াদিল্লি: কখনও বাড়ির বাইরে সমবয়সী বা অন্য কারও সঙ্গে ঘর শেয়ার (roommates) করে থেকেছেন? যেমন ধরুন, হস্টেলে (Hostel) বা পেয়িং গেস্ট (paying guest) হিসেবে? এসব ক্ষেত্রে অনেকেরই নিজের জিনিস চুরি যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়ার কথা শোনা যায়। সবচেয়ে খারাপ বোধ হয়, না বলে বা অনুমতি না নিয়ে খাবার-দাবার নিয়ে নেওয়া, আরও খারাপ যদি ফুরিয়ে যাওয়ার পর তারা সেই খাবার এনে না রাখে। এরকম বারবার হতে থাকলে বিরক্তি আসাও অস্বাভাবিক নয়। এমনই এক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন এক মহিলা। এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ারও উপায়ও বের করলেন নিজেই। কী করলেন তিনি? 


ফ্ল্যাটের সঙ্গীরা চুরি করে খাবার, রেহাই পেতে বিশেষ উপায় বের করলেন মহিলা


যাদের সঙ্গে ঘর শেয়ার করেন, তারাই 'চুরি' করে খাবার। ব্রিটেনের এক মহিলার দুর্দশা। এমন পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে আবিষ্কার করেন এক বিশেষ পদ্ধতি। যা জনসমক্ষে আসতেই হয়েছে ভাইরাল। 


মহিলার নাম সারাহ্, টিকটকে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। সেখানে তিনি জানান যে নিজের খাবারে বিষ মেশাতে 'বাধ্য' হয়েছেন তিনি কারণ তাঁর অবিবেচক ফ্ল্যাটমেটরা খাবার চুরি করেই যাচ্ছেন। তাঁদের থামানো প্রয়োজন। 


আঁতকে উঠতে হবে না! কারণ ওই মহিলা অবশ্যই সত্যি 'বিষ' মেশাননি খাবারে। আসলে তিনি খাবারে মেশানে বিপুল পরিমাণে নুন, তাতেই 'বিষাক্ত' করেন খাবার। অনলাইন টেক্সট যেটা দেখা যাচ্ছে তাতে অবশ্য অনেকেই ধোঁয়াশায়। ভিডিও শেয়ার করে তিনি লেখেন, '২ বছর আগের সেই সময় যখন আমাকে নিজের খাবার বাধ্য হয়ে বিষাক্ত করতে হয়েছিল কারণ আমার ফ্ল্যাটের অন্যান্যরা তা চুরি করেই যাচ্ছিল'। 


ভিডিওয় ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রীকে দেখা যাচ্ছে অরগ্যানিক ব্রিটিশ ক্সিমড দুধের কার্টনে নুন মেশাচ্ছেন। এরপর আরও খানিক নুন ওই কার্টনে মিশিয়ে ভাল করে ঝাঁকিয়ে নেন। ভিডিওর শেষে তাঁকে বলতে শোনা যায় যে তিনি এই 'দূষিত' দুধটি ফ্রিজে রেখে দেবেন এবং সেটা 'কারও পান করার অপেক্ষা করবেন'। তিনি আরও ব্যাখ্যা করে বলেন, 'তো, লোকজন আমার ফ্রিজ থেকে দুধ বের করে খেয়ে খালি কার্টনটা ফ্রিজে ভরে রাখতে চান। এবার দেখব কত ধানে কত চাল।' 


বোঝাই যাচ্ছে দুই বছর আগে করা কীর্তি ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছিলেন সারাহ্। এখন সেটা পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্যাপশনে লেখেন, 'এবং এটা করে আমার এতটুকু আক্ষেপ নেই এবং হ্যাঁ এটা একজন পান করেছিল'। 


অনেক নেটিজেনই তাঁর এই কাণ্ডে মুগ্ধ হয়েছেন। অনেকে আবার মজা করে লিখেছেন যে তাঁরা প্রথমে নুনটাকে ইঁদুর মারার বিষ ভেবেছিলেন। অনেকেই মহিলার পদ্ধতির সঙ্গে সহমত। একজন কমেন্ট  করেছেন, 'আমার এটা খুব ভাল লেগেছে কারণ যখন ওরা নিচে নামে, আমি আরও নিচে নামি।'