নয়াদিল্লি: মাঝে কিছুদিনের বিরতি। আবারও প্রত্য়াবর্তন ঘটল মনোলিথের। আমের্কার লাস ভেগাসের সংলগ্ন নেভাডা মরুভূমিতে রহস্যজনক মনোলিথের উদয় ঘটেছে একেবারে অকস্মাৎই। দীর্ঘাকার, ধাতব স্তম্ভটি কে বা কারা সেখানে বসিয়ে গিয়েছে, সে ব্যাপারে কোনও তথ্য মেলেনি এখনও পর্যন্ত। ফলে আবারও মনোলিথ ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। (Mysterious Monolith in Las Vegas)


লাস ভেগাস পুলিশ ওই মনোলিথের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে। তারা জানিয়েছে, লাস ভেগাসলস উপত্যকার উত্তরের গাস পিকের কাছে ওই মনোলিথটির হদিশ মিলেছে। তাদের স্যোশাল মিডিয়া হ্যান্ডলে লেখা হয়, 'দলে দলে মানুষ যখন হাঁটতে বেরোন, অনেক অদ্ভুত জিনিসপত্রই চোখে পড়ে। কেউ পর্যাপ্ত পরিমাণ জল নিয়ে যান না, কেউ আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে বেরোন না। কিন্তু এটা কী'! (Monolith Mystery)


লাস ভেগাস পুলিশ যে ছবি সামনে এনেছে, তাতে ঝকঝকে একটি ধাতব স্তম্ভ দেখা গিয়েছে। পাথুরে জমির উপর উল্লম্ব ভাবে বসানো রয়েছে। ধাতব স্তম্ভটি এতই ঝকঝকে যে পাথুরে জমি, নীল আকাশ পরিষ্কার ফুটে উঠেছে তার গায়ে। সেটিকে দেখতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন মানুষজন। নিজের গরজে রহস্যের সমাধান করতেও নেমে পড়েছেন অনেকে।



আরও পড়ুন: আগাগোড়া মজুত রহস্যের উপাদান, ব্রহ্মাণ্ড সংযোগ নিয়েও চর্চা, বার বার যে কারণে খবরে Monolith


আমেরিকা ছাড়াও, ব্রিটেন, রোমানিয়া, এমনকি ভারতেও মনোলিথের আবির্ভাব ঘটেছে। কোথা থেকে সেটির অবির্ভাব ঘটল, কে বা কারা সেটি বসিয়ে গিয়েছে, আজ পর্যন্ত সেই সংক্রান্ত তথ্য জানা যায়নি। তবে মনোলিথ নিয়ে হাজারো তত্ত্ব উঠে এসেছে। এমনকি মনোলিথের আকারও ভিন্ন রকমের হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। 


Monolith শব্দটির আগমন ভূবিজ্ঞান থেকে। একটি মাত্র প্রকাণ্ড প্রস্তর যখন অনেকটা জায়গা জুড়ে অবস্থান করে, তাকে বলা হয় Monolith বা প্রস্তরস্তম্ভ। এই স্তম্ভকে পাতের মতোও দেখতে হতে পারে, আবার হতে পারে স্তম্ভের মতোও।  ইদানীং কালে যে Monolith ঘিরে এত উন্মাদনা, সেগুলি ধাতব স্তম্ভ। ইস্পাত পিটিয়ে বানানো। এত ঝকঝকে, চকচকে যে দূর থেকে দেখে ধাঁধা লেগে যেতে পারে চোখে।


ভিনগ্রহীরা নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে নিঃশব্দে, নিভৃতে পৃথিবীতে Monolith রেখে যায় বলে দাবি করেন কেউ কেউ। কারও কারও মতে, Monolith আসলে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাস্কর্যশিল্পীদের কীর্তি। লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে সকলের অগোচরে নিজেদের শিল্পগুণের প্রমাণ রেখে যান তাঁরা। তবে কোনও কিছুর উপরই সিলমোহর দেওয়া যায়নি আজ পর্যন্ত।