কলকাতা: বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র (Democracy)। নানা ধর্ম, নানা ভাষা, নানা জাতি--একই দেশে একসঙ্গে রয়েছে এতদিন। তাদের নিয়েই এগিয়েছে ভারত (India)। কিন্তু পথটা সহজ ছিল না। ইংরেজ শাসনের শৃঙ্খল থেকে বেরনোর সঙ্গেই দেশভাগের ক্ষত। তারপর আরও নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে এগিয়েছে আমাদের দেশ। এত বড় দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো বজায় রাখতে অন্য়তম বড় অবদান যাঁদের, তাঁরা হলে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। আরও স্পষ্ট করে বললে সিভিল সার্ভিসের সঙ্গে যুক্তরা। যাঁদের উপর নির্ভর করেই গোটা ভারতের পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা পৌঁছয়। আইনশৃঙ্খলা থেকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা সবকিছুর মূলেই রয়েছে ভারতের দক্ষ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাঁদের অবদানের কথা ভেবেই ২১ এপ্রিল পালন করা হয় National Civil Service Day.
প্রথম কবে:
ভারত সরকারের তরফে এই দিনটি পালন করা হয়। প্রথম ২০০৬ সালে নয়াদিল্লির (New Delhi) বিজ্ঞান ভবনে এই দিনটি পালন করা হয়েছিল। ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ২১ এপ্রিলেই সেই সময় তৈরি হওয়া অ্যাডমিনিষ্ট্রিটিভ সার্ভিস অফিসারদের ব্যাচের সামনে প্রথমবার বক্তব্য রাখেন। সেই কারণেই ২১ এপ্রিলেই National Civil Service Day পালন করা হয়। সিভিল সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের কাজে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি দিতে বাছাই করা আধিকারিকদের এই দিনেই একটি সম্মানও দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী সেই পুরস্কার দেন।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:
ভারতের সমাজব্যবস্থা এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থায় আমলাতন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের বিভিন্ন স্তরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ এই আমলারা করে থাকেন। বৈদেশিক সম্পর্ক থেকে প্রশাসন সামলানো, পুলিশ ব্যবস্থা থেকে কর ব্যবস্থা---একটি সার্বভৌম দেশ পরিচালনার জন্য যা যা প্রয়োজন তার প্রায় সবটাই ন্যস্ত থাকে এঁদের উপরেই। আইনসভায় যা পাশ হয়, যা আইন তৈরি হয় সেগুলি কাজে পরিণত করার দায়িত্ব থাকে এঁদের উপর। ভারতীয় অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ সার্ভিস, ভারতীয় পুলিশ সার্ভিস, ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস (Indian Foreign Service), একাধিক অল ইন্ডিয়া সার্ভিস এবং সেন্ট্রাল সার্ভিস গ্রুপ এ ও বি নিয়ে তৈরি হয় ন্যাশনাল সিভিল সার্ভিস (National Civil Service)।
আরও পড়ুন: ল্যাবের মেঝেতেই রবিবারের রাত যাপন স্কলারের, অধ্যাপকের ছবিতে 'আইআইটি' জীবনের ঝলক