কলকাতা: ভারতীয় অর্থনীতির ভিত্তি কৃষি। দেশের বিপুল অংশের বাসিন্দার জীবন-জীবিকা জড়িয়ে রয়েছে চাষবাসের সঙ্গে। দেশের নাগরিকদের প্রতিদিনের খাবারে যাঁরা নিশ্চয়তা দেন। তাঁদের জন্য একটি বিশেষ দিন রয়েছে। আজ, ২৩ ডিসেম্বর কিষাণ দিবস (Kishan Diwas) বা জাতীয় কৃষক দিবস (National Farmer's Day)। 



ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিং (Chaudhary Charan Singh)-এর জন্মদিনও ২৩ ডিসেম্বর। সেই দিনেই পালিত হয় কৃষক দিবস। চৌধুরী চরণ সিং ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দেশের প্রান্তিক মানুষদের অধিকার নিয়ে নানা ভাবে কাজ করেছিলেন চৌধুরী চরণ সিং।  


কী কী কাজ:
তাঁর অধীনে ডেবট রিডেম্পশন বিল ১৯৩৯, খসড়া তৈরি ও কাজ হয়েছিল। ল্যান্ড হোল্ডিং অ্যাক্ট (Land Holding Act, 1960) তৈরি করেছিলেন তিনি। ১৯৭৮ সালে কিষাণ ট্রাস্ট (Kishan Trust) তৈরি করেন চৌধুরী চরণ সিং।  






সমাজের প্রতি কৃষকদের অবদান মনে রাখতেই জাতীয় কৃষক দিবস পালন করা হয়। অর্থনীতির (Economoy) ভিত্তি হিসেবে কাজ করেন কৃষকরা। গ্রামীন অর্থনীতির (Rural Economy) সঙ্গে পুরোপুরি জড়িয়ে রয়েছে কৃষিকাজ। ভারতের গ্রামীন বাসিন্দার অর্ধেকই জড়িয়ে রয়েছেন কৃষিকাজের সঙ্গে। ভারতের দশম কেন্দ্রীয় সরকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংহের জন্মদিবস জাতীয় কৃষক দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। কৃষকদের ভূমিকা,তাঁদের অবদান নিয়ে আলোচনা করা, সচেতনতা প্রসারের কাজ করা হয় এই দিনে।   


কৃষকদের আত্মত্যাগ ও পরিশ্রমকে মর্যাদা দেওয়ার কথা বলে জাতীয় কৃষক দিবস। কৃষকদের (Farmers) সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা প্রসার করা হচ্ছে। সরকারের তরফ থেকে কৃষকদের আর্থিক উন্নয়ন নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে আরও বেশি উৎপাদন সম্ভব তা নিয়ে কৃষকদের সাহায্য করছে সরকার (Government)। 


আরও পড়ুন: ট্রেনের বার্থে বসেই ক্লাসিকাল গানের জলসা, ৮ বছরের বিস্ময় বালকের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ নেটিজেনরা