বেজিং: মুখে একটার পর একটা সিগারেট (cigarette)! 'চেন-স্মোকার'-দের যেমন হয়। সঙ্গে দৌড়। যে সে নয়, একেবারে ৪২ কিলোমিটার ম্যারাথন (Marathon)। সিগারেটে 'সুখটান' দিতে দিতেই সেই ম্যারাথন শেষ করলেন চিনের (china) প্রবীণ বাসিন্দা (old man)। ৩ ঘণ্টা ২৮ মিনিটে 'কেল্লা ফতে।' কিন্তু ধূমপায়ী প্রবীণের পক্ষে ম্যারাথন দৌড়? সোনার পাথরবাটি নয়তো?

আজব কিসসা...
গল্প নয়, চিনের বাসিন্দা, ৫০ বছরের ওই প্রবীণ বাস্তবেই এমন করে দেখিয়েছেন। গত ৬ নভেম্বর, জিয়ান্দে নামে এক মফঃস্বল শহরে ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই বিস্ময়! একটার পর একটা সিগারেট জ্বালাচ্ছেন, আর তা মুখে নিয়েই দৌড়। পা থামছে না, সিগারেটও নিভছে না। কী করে সম্ভব? প্রায় অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স দেখিয়ে আপাতত তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন 'আঙ্কল চেন'। প্রতিযোগিতার ফলাফল? ১৫০০ অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৫৭৪তম স্থানাধিকারী বছর পঞ্চাশের প্রবীণ। কিন্তু যেখানে ধূমপান মানেই শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষমতা কমতে থাকা এবং বহু ক্ষেত্রে মারণব্যাধি, সেখানে ম্যারাথন শেষ করা? 


কেন বিস্ময়ের...
বিশেষজ্ঞরা বহু গবেষণায় দেখেছেন, টানা ধূমপানে হৎপিণ্ড, ফুসফুস ও পেশিতে অক্সিজেন কম পৌঁছয় যা কিনা দৌড়নোর ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তা ছাড়া, ম্যারাথন প্রতিযোগিতা এক অর্থে ফিটনেস ও সুস্বাস্থ্যের বার্তা তুলে ধরে। এমন জায়গায় কোনও ধূমপায়ীর অংশ নেওয়াতেই বিস্মিত নেটিজেনদের অনেকে। 'আঙ্কল চেন'-র ধূমপান করা অবস্থায় দৌড়নোর ছবি ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তাই মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে। কেউ কেউ এটি হালকা ভাবে নিলেও বাকিদের মতে, এভাবে আসলে নেতিবাচক দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন ওই প্রবীণ। এক জন লেখেন, 'এর থেকে কিছুই প্রমাণ হয় না। উনি যদি সিগারেটে টান না দিতেন, তা হলে আরও ভাল পারফর্ম করতেন। এবং আমার ধারণা উনিও এটা জানেন। ওঁর ফুসফুস তখন বোধহয় সাহায্যের জন্য কাতর আর্তি জানাচ্ছিল।'
ঘটনা হল, ২০১৮ সালে গুয়াংঝৌ ম্যারাথনেও একাধিক সিগারেট পান করতে করতেই অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল 'আঙ্কল চেন'-কে। ২০১৯ সালে জিয়ামেন ম্যারাথনেও একই ভাবে অংশ নিতে দেখা যায় তাঁকে। এতেই শেষ নয়। ৫০ কিলোমিটারের আলট্রাম্য়ারাথনেও দৌড়েছেন'আঙ্কল চেন'। এখনও পর্যন্ত ধূমপান করাকালীন ম্যারাথনে দৌড়নো যাবে না, এমন নিয়ম নেই। ফলে সব মিলিয়ে ধোঁয়া উড়িয়ে দৌড়ে চলেছেন প্রবীণ।


আরও পড়ুন:রাজ্য ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবস্থান এক না হলে কমিশন ভেঙে দেওয়া হোক: বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু