কলকাতা: অপটিক্যাল ইলিউশন (Optical Illusion) শুধুই ছবির ধাঁধা নয়। আমরা কীভাবে একটি নির্দিষ্ট সমস্যাকে দেখি তার পাশাপাশি আমাদের ব্যক্তিত্বের একটি দিকও তুলে ধরে এইসব অপটিক্যাল ইলিউশন, যার সম্পর্কে আমরা হয়তো সচেতনই নই এমনটাই মত। যদিও উলটো মতও আছে যে এর মাধ্যমে মন ও মস্তিষ্ক এই দুইয়েরই ক্ষমতা বুঝতে পারা যায়।
আপনার পর্যবেক্ষণ দক্ষতা পরীক্ষা করার জন্য অপটিক্যাল ইলিউশন বেশ কার্যকরী একটি পদ্ধতি। এই অপটিক্যাল বিভ্রমগুলিও মনোবিশ্লেষণের ক্ষেত্রের একটি অংশ, কারণ তারা আপনার ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যগুলি জানতে সাহায্য করে। আমরা প্রত্যেকেই নানা ভাবে একই বস্তু দেখি। ফলে সেই বস্তুকে নিয়ে আমাদের আমাদের উত্তরগুলিও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
এই ছবিতে যেমন অনেকে ঘূর্ণায়মাণ এই চাকতির গুলির মধ্য থেকে সাপও খুঁজে পেয়েছেন। অনেকে আবার শুধু দেখেছেন যে ডিস্কগুলি কেবলমাত্র ঘুরছে। অধ্যাপক আকিয়োশি কিতাওকা ২০০৩ সালে এই অপটিকাল ইলিউশনটি তৈরি করেছিলেন। ছবিটি কিন্তু আদতে স্থির। তবে চোখে দেখা অনুভূতির ওপর ভিত্তি করে মাইক্রোস্যাকাডিক ফ্রিকোয়েন্সির জন্য এমনটা হয়। কিন্তু বাস্তবে পুরো ছবিটাই স্থির।
আরও পড়ুন, জামাটিতে ঠিক কতগুলি ছিদ্র রয়েছে? সঠিক উত্তর দিতে পারেননি অধিকাংশই!
এটিকে পেরিফেরাল ড্রিফ্ট ইলিউশন বা গতি বিভ্রমও বলা হয়ে থাকে। অলীক গতির জন্য স্থির ছবিতেও ফুটে ওঠে নানা রকমের দৃশ্য। যা এক এক জনের চোখে এক এক ভাবে ধরা পড়ে।
ইন্টারনেটে (Internet) অপটিক্যাল ইলিউশন দেখে তা থেকে মানুষ সঠিক উত্তর খুঁজে বের করতে পছন্দ করেন। অনেকেই আছেন যারা অবিলম্বে খুঁজে পেয়ে যান এই ধাঁধার উত্তর। আবার অনেকে আছেন যাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করার পরেও সঠিক উত্তরটি আর কিছুতেই খুঁজে পান না।