বেজিং: হাজার হাজার মানুষের জমায়েত। আনন্দ উৎসবে হঠাৎই বিপত্তি বাধল। ভিড়ের সামনে হঠাৎ রণমূর্তি ধারণ করল কৃত্রিম মেধা দ্বারা চালিত যন্ত্রমানব (AI Robot)। মারমুখী হয়ে ভিড়ের দিকে তেড়ে যেতে দেখা গেল তাকে। তড়িঘড়ি তাকে নিরস্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশবাহিনী। কিন্তু বিষয়টি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রযুক্তির উন্নতি আসলে আমাদের ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে কেউ কেউ মন্তব্য করেন। যদিও রোবটটি সত্যিই মারমুখী হয়ে ছুটে যায়, না কি হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়, তা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কারণ রোবটটি কারও উপর হামলা চালায়নি, নিজে পড়ে যেতে যেতে সামলে নেয় বলে দাবি করেছেন কেউ কেউ।  তাঁদের দাবি, ভিডিওটি এমন ভাবে তোলা, যা দেখে দেখে বিভ্রান্ত হয়েছেন অনেকে। (Robot Attacking People Video)

Continues below advertisement

ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি এবং ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে অনুষ্ঠান চলাকালীন একাধিক রোবটকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে। হাজার হাজার মানুষের ভিড় সামাল দিতে বসানো হয় ব্যারিকেডও। সেই সময় একটি রোবট হঠাৎই ব্যারিকেডের সামনে চলে আসে। মোবাইল ফোনে সেই সময় রোবটটিকে ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত সকলে। হঠাৎ ঝাঁকুনি মতো লাগে রোবটটির শরীরে। ভিড়ের প্রতি তার আচরণ আগ্রাসী বলে ঠাহর হয়। সেই পরিস্থিতিতে পিছন থেকে রোবটটিকে টেনে ধরেন এক নিরাপত্তা কর্মী। ভিড়ের কাছ থেকে তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়। (Viral News)

ওই ভিডিও সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। জো রোগান এক ব্যক্তি লেখেন, 'চিনে ভিড়ের মধ্যে মানুষের উপর হামলা চালাল AI রোবট। এই কি তাহলে শেষের শুরু?' কৃত্রিম যন্ত্রমেধা এবং যন্ত্রমানবের দাপট যে হারে বেড়ে চলেছে, তাতে মানব সভ্যতা ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে বলেও দাবি করেন কেউ কেউ। রোবটটির আগ্রাসী আচরণ যথেষ্ট উদ্বেগের বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা। জো আরও লেখেন, 'চিনে AI রোবট হঠাৎ আগ্রাসী হয়ে উঠল। রোবটটির আচরণ আশ্চর্যজনক ভাবে মানুষের মতোই ঠেকেছে। আমার ভাল ঠেকছে না'। যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে রোবটটি আগ্রাসী হয়ে ওঠে বলেও দাবি শোনা যায়।

Continues below advertisement

কৃত্রিম যন্ত্রমেধা এবং যন্ত্রমানব নিয়ে এই মুহূর্তে কাটাছেঁড়া চলছে পৃথিবীর সর্বত্রই। প্রযুক্তি এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, অদূর ভবিষ্যতে রোবট মানবজাতির উপর আধিপত্য বিস্তার করলেও, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলে মত কারও কারও। চিনের যে ভিডিওটি ঘিরে শোরগোল, তা নিয়ে যদিও অন্য তত্ত্বও উঠে আসছে। কেউ কেউ দাবি করছেন, আসলে ব্যারিকেডের কাছে পা আটকে, হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। সেটিকেই হামলা বলে চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। 

তবে হামলা না চালালেও, ভিডিওটি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন কেউ কেউ। তাঁদের মতে, রোবটদের নিয়ে সমস্যা ঠিক কোথায়, তা ভিডিওটিতেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। হোঁচট খেয়ে মানুষ যেভাবে সামলে নেয়, রোবটদের প্রতিক্রিয়া কিন্তু তেমন নয়। হোঁচটই যদি খেয়ে থাকে রোবটটি, সেক্ষেত্রে তার প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত আগ্রাসী, ক্ষিপ্র। স্থিরতার অভাব রয়েছে। ওই অবস্থায় কাছাকাছি কেউ থাকলে, তাঁর আহত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই রোবটগুলিকে আরও উন্নত করে তোলার প্রয়োজন রয়েছে বলে মত কারও কারও।