Karnataka: গঙ্গায় যেতে পারছেন না, এই আক্ষেপ নিয়ে বাঁচতে চাননি মহিলা। আর তাই নিজের চেষ্টাতেই কুয়ো খুঁড়ে গঙ্গার জল টেনে আনেন নিজের কাছে। আজব কীর্তি (Karnataka News) এই মহিলার। আর এই কাজে তিনি বুঝিয়ে দিলেন দৃঢ় ইচ্ছা এবং মনোবল থাকলে পর্বতকেও নিজের কাছে টেনে আনা সম্ভব। প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে যাওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল এই মহিলার (Viral News), কিন্তু কোনওভাবেই যাওয়া হয়ে ওঠেনি এতদিন। আর তাই সেই মনের ইচ্ছা পূরণ করতে নিজের বাড়ির পিছনদিকে কুয়ো খুঁড়তে শুরু করেন মহিলা, এত টাকা খরচ করে কুম্ভে (Kumbh Mela 2025) যাওয়ার আক্ষেপ ঘোচাতে সেই কুয়ো খুঁড়েই টেনে আনেন 'পবিত্র গঙ্গার জল'। তাতেই মনস্কামনা পূর্ণ হয় এই মহিলার। ৫৭ বছর বয়সী এই মহিলার নাম গৌরী।


টানা দুই মাস ধরে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা অক্লান্ত পরিশ্রম করে একটি কুয়ো খুঁড়েছেন তিনি তার নিজের বাগানে। কঠোর পরিশ্রম করেছেন তিনি, ধীরে ধীরে মাটি সরিয়ে গর্তের গভীরতা বাড়তে থাকে। ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নাগাদ ৪০ ফুট গভীর কুয়ো খুঁড়ে ফেলেন তিনি। তিনি বিশ্বাস করেন যে এই গভীর কুয়ো খুঁড়ে তিনি তার বাড়ির কাছে একেবারে গঙ্গাকে নিয়ে চলে এসেছেন। তবে সংবাদসূত্র অনুসারে এটাই প্রথম নয় যে গৌরী নামের এই মহিলা এমন একটি গভীর কুয়ো খুঁড়েছেন। এর আগেও তার ফার্মের জলসেচের জন্য গভীর কুয়ো খুঁড়েছিলেন তিনি।


সিরসির গণেশনগর অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলেও এর আগে তিনি একটি কুয়ো খুঁড়েছিলেন। আর তা করা হয়েছিল সেখানকার গ্রামবাসীদের পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর জন্য। অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলে সেই কুয়ো খুঁড়তে যখন তিনি শুরু করেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে থামানো চেষ্টা করেন। উত্তর কন্নড়ের বিধায়ক অনন্ত কুমার হেজের সহায়তায় গৌরী সেই কুয়ো খোঁড়া নির্বিঘ্নে সমাপ্ত করতে পারেন। আজও সেই কুয়োর জল স্থানীয় মানুষদের জলের চাহিদা মিটিয়ে আসছে।


ফলে এটাই প্রথম নয় যে গৌরীর এই কুয়ো খননের কীর্তি সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে। ২০২১ সালে এক বছরে দুটো কুয়ো খননের জন্যও তার নাম উঠেছিল সংবাদের শিরোনামে। প্রতিটি কুয়োর গভীরতা ছিল ৬০ ফুট, সময় লেগেছিল প্রতিটির জন্য ৪-৫ মাস। দিনে-রাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে তিনি এবারেও বাড়ির পিছনে কুয়ো খনন করেছেন।


আরও পড়ুন: Multibagger Stock: ৫০ টাকারও কম দাম ছিল, আজ ১৪৩৫ টাকায় পৌঁছেছে এই শেয়ারের দাম ! ৬ বছরেই বিপুল রিটার্ন