Viral Post: সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট সম্প্রতি তুমুল ভাইরাল হয়েছে যেখানে এক্স হ্যান্ডলের সেই পোস্টে এক আইটি কর্মীর বক্তব্যে উঠে এসেছে ভারতের বুকে ক্রমবর্ধমান রিয়েল এস্টেটের দামের কথা। আর এই কারণে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরেই চলে যাবে বাড়ি-ফ্ল্যাট ? দাম হচ্ছে আকাশছোঁয়া। এক্স হ্যান্ডলে অখিলেশ নামের এক ব্যক্তি পোস্টে জানান যে তাঁর এক বন্ধু গুরগাঁওতে বছরে ২০ লক্ষ টাকার প্যাকেজের চাকরি করেন। তবু এই বাজারে এত ভাল বেতন পেয়েও নিজের ফ্ল্যাট কিনতে পারছে না সে।
এই পোস্ট অনুসারে জানা যাচ্ছে, অখিলেশ নামের সেই বন্ধুটির টেক-হোম বেতন মাসিক ১.২ লক্ষ টাকা। তাঁর কোনও গাড়ি নেই, কোনও সন্তানাদি নেই, কোনও বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন না তিনি। এরপরেও গুরগাঁওতে যে রেসিডেন্সিয়াল প্রজেক্টেই তিনি গিয়েছেন, সবকটির দামই শুরু হচ্ছে ২.৫ কোটি টাকা থেকে। এই সমস্ত বাড়িগুলিতে ইনফিনিটি পুল রয়েছে, জেন গার্ডেন, বায়োমেট্রিক লিফট রয়েছে, রয়েছে ইমপোর্টেড মার্বল ফ্লোর যা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে ডেভেলপাররা লাক্সারি মানের ফ্ল্যাটক্রেতাদের নজরে রেখেই এই বাড়ি বানিয়েছেন। গড়পড়তা পেশাদার ব্যক্তিদের জন্য এই বাড়ি বা ফ্ল্যাটগুলি বানানোই হয়নি।
এই ভাইরাল পোস্টটি অনেকের বিশেষ করে বহু তরুণ শহুরে পেশাদারদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। ভারতের শীর্ষ ৫ শতাংশ আয়ের মধ্যে থাকা ব্যক্তিরাও তাদের আর্থিক নিরাপত্তার সঙ্গে আপস না করে মেট্রো শহরগুলিতে আরামে বাড়ি কিনতে পারবেন না, এমনটাই জানিয়েছেন সেই ব্যক্তি। আর তাই এখন একটি বাড়ি কেনা মানে একেবারে কাঁটায় কাঁটায় চলা, যা বেতন তাই বাড়ির ইএমআই চলে যাবে। আপদকালীন তহবিলের জন্য টাকা থাকবে না, খুব সামান্য অবসরযাপন, শখ আহ্লাদ পূরণের জন্যও টাকা থাকবে না।
অখিলেশ এই পোস্টের শেষে লেখেন, 'বাজার ভেঙে পড়েনি। যেমনভাবে এটি তৈরি করা হয়েছে, তেমনভাবেই কাজ করছে, তবে আপনার জন্য নয়, অন্য কারও জন্য।' অখিলেশের এই পোস্ট একটি বৃহত্তর প্রবণতা তৈরি করেছে, কীভাবে দ্রুত নগরায়ণ ঘটছে, অনুমানমূলক বিনিয়োগ, আর অতি-বিলাসিতাপূর্ণ হাউজিং হোম-বায়ারদের প্রলুব্ধ করছে। এমনকী এই সমস্ত প্রলোভনের ফাঁদ রয়েছে দেশের উচ্চ উপার্জনকারী ব্যক্তিদের জন্যও।
অতি-বিলাসী হাউজিংয়ের চাহিদা বাড়ছে
২০২৪ সালে অ্যানারক সংস্থার বার্ষিক রেসিডেন্সিয়াল রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে দিল্লি এনসিআরের নতুন রিয়েল এস্টেট প্রজেক্টের ৫৯ শতাংশ, হায়দরাবাদে ১৮ শতাংশ বাড়ির বা হাউজিং প্রজেক্টের মূল্য ২.৫ কোটির বেশি। ধনী ব্যক্তি এবং প্রবাসীদের চাহিদার কারণে দেশে প্রিমিয়াম হাউজিং প্রজেক্ট বাড়ছে, চাহিদাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে।
আর এই ক্ষেত্রে সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করছে প্রবাসীরা। দীর্ঘমেয়াদে সম্পদের উন্নয়নের মাধ্যম হিসেবে দেশের বড় বড় মহানগরগুলিতে তারা বেশিরভাগ সময় এই ধরনের প্রিমিয়াম হাউজিং কিনে রাখছেন এবং এই প্রবণতা কয়েক বছরে আরও বেড়েছে।