অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় আমাদের লোম বাদ দেওয়ার কথা বা বডি ওয়্যাক্সিংয়ের কথা বললেই গা শিরশির করে ওঠে। মেয়েদের অনেকেই এই বিষয়টির সঙ্গে অভ্যস্ত, কিন্তু তবু এই ওয়্যাক্সিংকে সাদরে গ্রহণ করতে পারেনি অনেকেই। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে সমাজমাধ্যমে যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে আগামী দিনে এই ওয়্যাক্সিং নিয়ে মানুষকে ভাবতেই হবে না, কারণ মানুষের শরীরে আর একটিও লোম থাকবে না। কনটেন্ট ক্রিয়েটর স্যাম বেরেস তাঁর একটি ইনস্টাগ্রাম রিলে জানিয়েছেন যে মানুষের শরীরের বেশ কিছু অংশ ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। আর মানুষ হয়ত পরে কিছু বিবর্তনের বিস্ময়কর ফলাফলের সঙ্গে পরিচিত হবে।
এই ইনস্টাগ্রাম রিলে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর স্যাম বেরেস জানিয়েছেন যে, ‘শরীরের কিছু অংশ ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত তা টিকে রয়েছে তাঁকে উপভোগ করুন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শারীর সংস্থান বদলে যাচ্ছে। সবথেকে পরিচিত উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে আক্কেল দাঁত। এই থার্ড মোলারগুলি বিশ্বজুড়ে ক্রমেই অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। আজ জন্ম নেওয়া ৩৫ শতাংশ মানুষের মধ্যেই আর এই আক্কেল দাঁত থাকবে না। এর কারণ হল খাদ্যাভ্যাসের বদলের কারণে আমাদের চোয়াল ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে। ১০ থেকে ২০ হাজার বছরের মধ্যে এই আক্কেল দাঁত সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যাবে।’
তাঁর মতে শরীরের আরেকটি অংশ যা ক্রমে লুপ্ত হচ্ছে তা হল অ্যাপেনডিক্স। একসময় এটি হজমের কাজ করত বলে মনে করা হলেও এখন এই অঙ্গ সম্পূর্ণরূপে অকার্যকর। প্রতি বছর বিশ্বে ১ কোটি মানুষ অ্যাপেনডিক্স অপসারণ করে থাকেন। শরীরের লোমও ধীরে ধীরে উধাও হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ ভবিষ্যতের মানুষ স্থায়ীভাবে মসৃণ ত্বকের অধিকারী হবেন। আগামী ২০ হাজার বছরের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে, জানান বেরেস।
তাঁর কথায় মানুষের লেজের হাড় বা কক্সিস ১০ হাজার বছরের মধ্যে মেরুদণ্ডের সঙ্গেই মিশে যেতে পারে। পুরুষের স্তনবৃন্ত, পায়ের ছোট আঙুল ইত্যাদিও অবলুপ্ত হয়ে যাবে। মানুষের বাহুতে থাকা সবথেকে দীর্ঘতম পেশি পালমারিস লঙ্গাস পেশি আজ ৬৫ শতাংশ ভারতীয়র মধ্যেই অনুপস্থিত আর বিশ্বব্যাপী ১৫ শতাংশ মানুষের মধ্যেই অনুপস্থিত।