কলকাতা: কাজের জগতে বিষাক্ত পরিবেশ নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরেই সমাজমাধ্যমে সরব নেটিজেনরা। কিছুদিন আগেই অত্যধিক কাজের চাপে (Viral News) জনপ্রিয় একটি সংস্থায় এক মহিলা কর্মীর মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য দানা বেঁধেছিল। এবার আরো একটি ভয়ানক ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এল। সড়কে গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েছে কর্মী আর সেই পরিস্থিতিতেও অফিসে দেরি হয়ে যাওয়ার জন্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি অভব্য ম্যানেজার। গাড়ি দুর্ঘটনা থেকে কোনোক্রমে প্রাণ বাঁচানোর পরে সেই কর্মীর সঙ্গে ম্যানেজারের (Toxic Boss) এক কথোপকথনের স্ক্রিনশট জনৈক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয় সমাজমাধ্যমে। আর মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় সেই কথোপকথনে ধরা পড়া বসের অমানবিক আচরণ।
গাড়ি দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার পরে সেই কর্মীর অবস্থা জিজ্ঞেস করার বদলে সেই ম্যানেজার তাঁর কাছ থেকে সময়ে অফিসে পৌঁছানোর দাবি করেন। ম্যানেজার দ্বিধা না করেই লেখেন, 'কখন তুমি অফিসে ঢুকবে তা এখানে আপডেট দিতে থেকো'। স্ক্রিনশটে দেখা যায় ম্যানেজারকে সেই কর্মী হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ভেঙে যাওয়া গাড়ির ছবি পাঠান, কিন্তু এত বড় দুর্ঘটনা সত্ত্বেও কোনো উত্তর দেন না ম্যানেজার। যেহেতু কর্মী তখনও অফিসে পৌঁছাতে পারেননি, সেই বিষয়টিকে প্রসঙ্গ করে ম্যানেজার লেখেন যে, পরিবারে কেউ মারা না গেলে সেই অফিসে কোনোভাবেই কামাই করা যায় না। স্পষ্টই ম্যানেজার সেই কর্মীকে লেখেন, 'তোমার কেন দেরি হচ্ছে তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, কিন্তু এই অফিসে পরিবারের কারও মৃত্যু ব্যতীত অন্য কোনো কারণে কামাই করাকে গ্রাহ্য করা হয় না'।
এই ঘটনায় স্পষ্টতই কাজের জগতের বিষাক্ত পরিবেশের কথা ধরা পড়েছে। ম্যানেজারের অমানবিক আচরণ কীভাবে কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত করে তার প্রমাণ এই ঘটনা। এক্স হ্যান্ডলে এই পোস্ট খুব কম সময়ের মধ্যেই ১৬ মিলিয়ন ভিউজ পায়, বহু নেটিজেনের কমেন্টে ভেসে যায় সেই পোস্ট।
অনেকে এই পোস্টে কমেন্ট করেন, 'আমি পরেরদিন খুব ভোরে সেই ম্যানেজারের বাড়ি গিয়ে তাঁর গাড়ির সবকটি টায়ার ফাটিয়ে দেব। তারপর বলব কেন ট্যাক্সি করে আসতে পারতে, তাহলে তো দেরি হত না'। অনেকে লেখেন যে তিনি সেই কর্মীর জায়গায় থাকলে কাজ ছেড়ে দিতেন। একজন লেখেন, 'এই ধরনের ম্যানেজারকে দেখে আমি শিউরে উঠি।'
আরও পড়ুন; Virus Outbreak: বার্গার খেয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত বহু, ক্ষোভের মুখে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড