আলিগড়: মেরেকেটে ১০ দিন বাকি ছিল। সারা হয়ে গিয়েছিল সব প্রস্তুতি। নিমন্ত্রণপত্র পৌঁছে গিয়েছিল আত্মীয়-পরিজনদের বাড়িতে। চলছিল প্যান্ডেল বাঁধার কাজ। কিন্তু বিয়ের পিঁড়িতে শেষ পর্যন্ত বসা হল না মেয়ের। কারণ মেয়ের বিয়েতে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ালেন মা। হবু জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে গেলেন তিনি। (Viral News)

উত্তরপ্রদেশের আলিগড় থেকে এমনই ঘটনা সামনে এল। মদ্রক থানা এলাকার বাসিন্দা শিবানী। আগামী ১৬ এপ্রিল বিয়ে হওয়ার কথা ছিল রাহুল নামের এক যুবকের সঙ্গে। কিন্তু বিয়ের ১০ দিন আগে, তাঁর মা অনিতা হবু জামাই রাহুলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন বলে খবর। মেয়ের বিয়ের জন্য কেনা গয়নাগাঁটিও তিনি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। (Uttar Pradesh News)

শিবানী জানিয়েছেন, বাড়িতে রাখা ৩.৫ লক্ষ টাকা এবং ৫ লক্ষ টাকার গয়না নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন তাঁর মা। সংবাদমাধ্যমে শিবানী বলেন, “১৬ এপ্রিল রাহুলের সঙ্গে বিয়ের কথা ছিল। রবিবার মা ওর সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে। গত তিন-চার মাস রাহুল এবং না ফোনে বেশ কথা বলত। বিয়ের জন্য আলমারিতে ৩.৫ লক্ষ টাকা নগদ এবং ৫ লক্ষ টাকা রাখা ছিল। রাহুলের কথাতেই কাজ করেছে মা। ১০ টাকাও রেখে যায়নি। সব নিয়ে পালিয়েছে।”

শিবানীর কথায়, “যা ইচ্ছে করুক মা। আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা শুধু টাকা এবং গয়না ফেরত চাই। আমাদের ফেরত দিয়ে যাক সব।” 

শিবানীর বাবা জিতেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরুতে ব্যবসা আছে তাঁর। ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হবু জামাইয়ের সঙ্গে যে স্ত্রী কথা বলেন, তা জানতে পেরেছিলেন তিনিও। মেয়ের বিয়ে সামনে বলে সেই নিয়ে কোনও কথা বলতে যাননি জিতেন্দ্র। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনিতা এমন কাণ্ড ঘটাবেন, ভাবতে পারেননি। স্ত্রী নিখোঁজ বলে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। 

জিতেন্দ্র সংবাদমাধ্যমে বলেন, “ছেলেটা আমার মেয়ের সঙ্গে কথা বলত না। বরং আমার স্ত্রীর সঙ্গেই ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলত। আমি বেঙ্গালুরুতে ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। জানতে পারি দিনে প্রায় ২২ ঘণ্টা পরস্পরের সঙ্গে ফোনে গল্প করত ওরা। সন্দেহ হলেও মেয়ের বিয়ের কথা ভেবে কিছু বলিনি। কিন্তু ৬ এপ্রিল টাকা, গয়না নিয়ে পালিয়ে গেল অনিতা।”

অনিতার সঙ্গে যোগাযোগ চেষ্টাও করেন জিতেন্দ্র। কিন্তু অনিতা ফোন বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রাহুল যদিও বা ফোন ধরেন, কিন্তু অনিতা তাঁর সঙ্গে গিয়েছেন বলে প্রথমে মানতে চাননি। পরে জিতেন্দ্রকে জানান, ২০ বছর অনেক অত্য়াচার সহ্য় করেছেন অনিতা। আর যেত জিতেন্দ্র অনিতাকে খোঁজার চেষ্টা না করেন। এর পর দু’জনের ফোনই বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি জিতেন্দ্রর। 

থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছেন জিতেন্দ্র। অনিতা এবং রপাহুলকে খুঁজে বের করা হবে বলে তাঁকে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে মদ্রক থানা।