নয়াদিল্লি: বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ভালবাসার দিন হিসেবে। ভারতেও ইদানিং সেটাই চল। ভারতের প্রাণীকল্যাণ বোর্ডও (Animal Welfare Board) ওই দিনের জন্য ভালবাসার বার্তা দিয়েছে। কিন্তু একটু আলাদা। কারণ ভারতের প্রাণীকল্যাণ বোর্ডের আবেদন, ১৪ ফেব্রুয়ারি যেন Cow Hug Day পালন করা হয়। অর্থাৎ গরুকে আলিঙ্গন করার আবেদন। কেন্দ্রীয় মৎস্য ও পশুপালন মন্ত্রকের অন্তর্গত প্রাণিকল্যাণ বোর্ডের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে চরমে উঠেছে বিতর্ক।


কেন এই আবেদন, তাও স্পষ্ট করেছে প্রাণীকল্যাণ বোর্ড। তাদের দাবি, ভারতীয় সংস্কৃতিতে, ভারতের গ্রামীন অর্থনীতিতে গরুর প্রভাব বিপুল। সেই কথা মাথায় রেখেই এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে ভারতের প্রাণীকল্যাণ বোর্ডের তরফে। তাদের দাবি, Cow Hug Day-এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে খুশি ও আনন্দ ছড়ানো যাবে। কিন্তু শুধু গরু কেন? অন্য অনেক প্রাণীও তো রয়েছে। তা অবশ্য খোলসা করেনি ভারতের প্রাণীকল্যাণ বোর্ড।




ভারতের প্রাণীকল্যাণ বোর্ডের তরফ থেকে যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, গরু ভারতীয় সংস্কৃতি ও গ্রামীন অর্থনীতির মেরুদণ্ড। গরুকে 'কামধেনু', 'গোমাতা' বলে সম্বোধন বিজ্ঞপ্তিতে। বিজ্ঞপ্তিতে তুলে আনা হয়েছে বৈদিক যুগের প্রসঙ্গও। পশ্চিমি সভ্যতার কারণে বৈদিক প্রথা বিলুপ্ত হয়েছে। ভারতীয় নানা প্রথা ভুলে যাওয়া হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। 


কী কারণে গরুকে আলিঙ্গন?
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, গরুকে আলিঙ্গন করলে মানসিকভাবে শান্তি পাওয়া যাবে। ব্যক্তিগত জীবন খুশিতে ভরে উঠবে। তাই ১৪ ফেব্রুয়ারি গরুকে আলিঙ্গন করার দিবস হিসেবে পালন করতে বলা হয়েছে।  


তুমুল রাজনৈতিক তরজা:
এই বিজ্ঞপ্তিকে তুলোধনা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'পশুপ্রেমী দিবস আলাদা রয়েছে। পশুপ্রেম খারাপ জিনিস নয়। যাঁদের ভ্যালেন্চাইনস ডে তে পশুপ্রেমের কথা মনে পড়ে। তাঁরা বদ্ধ উন্মাদ। ১৪ ফেব্রুয়ারি নরেন্দ্র মোদি থেকে দিলীপ ঘোষ সবাই গরুকে চুমু খাচ্ছেন। আমরা আশা করি দেখতে পারব...'


পাল্টা তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য । তিনি বলেন, 'আপনি যখন ছাত্র ছিলেন। কখনও ফাদার্স ডে, মাদার্স ডে, ভ্যালেন্টাইনস ডে শুনেছেন। এটা আমাদের পরম্পরা।' তিনি গরুকে আলিঙ্গন করবেন? সাংবাদিকের প্রশ্নে শমীকের উত্তর, 'সুযোগ পেলেই করব।'


আরও পড়ুন: সংসার বাঁধার আগে চাকরি খোয়ালেন হবু বর, বিয়ে করব কি ! সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন 'কনের'