নয়াদিল্লি: ছুটির (Leave Cancellation) আবেদন তো নয়, যেন দড়ি টানাটানি। মিটমাট হয়ে গেলে তাও একরকম ছিল। কিন্তু হকের বার্ষিক ছুটি নিয়ে যখন 'বস' মস্করা শুরু করলেন, তখন আর পারেননি নোয়েল। পত্রপাট (Employee Quits Job) ইস্তফাপত্র ধরিয়ে দেন। আপাতত নোয়েল ও তাঁর 'বস', নিকের মধ্য়ে এই নিয়ে যে কথাবার্তা হয়েছিল তা তুমুল ভাইরাল সোশ্য়াল মিডিয়ায় (Vial News)।


কী থেকে কী হল?
ঘটনাটি সম্ভবত অস্ট্রেলিয়ার। তবে বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তের চাকুরীজীবিই কম-বেশি এই ধরনের অভিজ্ঞতার সঙ্গে একাত্ম বোধ করেছেন। এই কথোপকথন প্রকাশ্য় আসে মাইকেল স্যানজ নামে এক টিকটক ইউজারের মাধ্যমে। অতীতেও এই ধরনের একাধিক ঘটনা তিনি জানিয়েছেন। এবার জানান নোয়েল এবং নিকের কথা। ঘটনা হল, বালি-তে ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে তিন সপ্তাহের ছুটি চেয়েছিলেন নোয়েল। কিন্তু এর মধ্যে সংস্থার এক কর্মী ইস্তফা দেওয়ায় তাঁর ছুটি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। বসের কাছ থেকে যে প্রথম মেসেজ আসে তাতে বলা হয়েছিল, 'কয়েক মাস পিছোতে পারি। HR-কে জানিয়ে দিয়েছি, তোমার ছুটি বদলাচ্ছে। অফিসের পরিস্থিতি তুমি বুঝবে, এটাই আশা।' জবাবে নোয়েল জানান, সংস্থার সমস্যা তিনি ভালোমতোই বুঝতে পারছেন। কিন্তু এই ছুটি বাতিল করা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। নোয়েল বলেন, 'বিমানের যাবতীয় টিকিট কাটা হয়ে গিয়েছে। আমার বাচ্চারা এর মধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছে।' তিনি জানান, সাত মাস আগে এই বুকিং করা হয়। তাই ছুটি বাতিল সম্ভব নয়। কর্মীর কথায়, 'ছুটিতে যত দিন না যাচ্ছি, তত দিন সাহায্য করতে পারি। কিন্তু ছুটির মেয়াদ বদলাতে পারব না।'
কথাবার্তা এখানেই শেষ নয়। অধস্তনের এহেন উত্তর পেয়ে নিক বলেন, 'বালিতে তিন সপ্তাহ ধরে কী করবেন, বুঝতে পারছি না।' মস্করার ফাঁকে কর্মীকে এও জানান, ছুটির মেয়াদ ৩ সপ্তাহ থেকে ৩ দিন করে ফেলা হোক। নোয়েলও থামেননি। স্পষ্ট বলেন, 'সংস্থার এমন অবস্থায় তিনি উদ্বিগ্ন। কিন্তু এটি ফ্যামিলি ট্রিপ। ছুটি বাতিল বা ছুটির মেয়াদ কমানো কোনওটিই সম্ভব নয়।' তিনি আরও মনে করিয়ে দেন, গত ৩ বছর কোনও বার্ষিক ছুটি নেননি। এর পর আর কথা বাড়াননি বস। স্পষ্ট বলে দেন, 'এই নিয়ে আর কথা বলতে পারছি না। তোমার ছুটি বাতিল। দুঃখিত।'


আর যা...
মারাত্মক ক্ষুব্ধ নোয়েল স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আদৌ তিনি আর এমন চাকরিতে ফিরবেন কিনা, সেটি নিয়ে সংশয় থাকছে। এবং এই ধরনের কথাবার্তার পর ছুটির মেয়াদ তিনি এগিয়ে আনছেন। শুধু তাই নয়। বসকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই ধরনের অযৌক্তিক কথোপকথনের সবটাই  HR-কে জানাবেন। বস এবং অধস্তনের এই কথাবার্তা আপাতত ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কম-বেশি সকলেরই মন্তব্য এক। এই ভাবে স্রেফ সংস্থার জন্য কোনও কর্মীর পূর্বপরিকল্পিত ছুটি বাতিল করা যায় না।  


আরও পড়ুন:জল স্পর্শ করলেই পাথর! রহস্যে ঘেরা এই 'খুনি হ্রদ'