নয়াদিল্লি: কোটার (Kota) বাসিন্দার জয়জয়কার। ভারতীয় রেলের (Indian Railways) সঙ্গে পাঁচ বছরের দীর্ঘ লড়াই জিতেছেন তিনি। একইসঙ্গে উপকার করেছেন প্রায় ৩ লক্ষ রেলযাত্রীকে (travellers)। ব্য়াপারটা ঠিক কী?
পাঁচ বছরের যুদ্ধ জয়
কোটার একজন ব্যক্তি ভারতীয় রেলের সঙ্গে ৫ বছর লড়াই করে অবশেষে ফেরত পেলেন তাঁর ৩৫ টাকা। এছাড়া এই গোটা প্রক্রিয়ায় তাঁর সাহায্যে ভারতীয় রেল থেকে ৩ লক্ষ রেলযাত্রীকে তাদের টাকা ফেরত পেলেন।
কোটার বাসিন্দা সুজিত স্বামী (Sujeet Swami) ট্যুইট করে আরটিআই থেকে পাওয়া উত্তর থেকে উদ্ধৃত করেন। তিনি জানান, ভারতীয় রেল ২.৯৮ লক্ষ আইআরসিটিসি (IRCTC) ব্যবহারকারীকে ২.৪৩ কোটি টাকা ফেরত অনুমোদন করেছে।
সুজিত স্বামী জানিয়েছেন যে তিনি প্রায় ৫০টি তথ্যের অধিকারের আবেদন (Right to Information application) দাখিল করেছেন এবং জিএসটি (GST) ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার আগে তাঁর টিকিট বাতিল করা সত্ত্বেও পরিষেবা কর (Service Tax) হিসাবে নেওয়া ৩৫ টাকা ফেরত পাওয়ার লড়াইয়ে চারটি সরকারি বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছেন।
ওই ব্যক্তি জানান, তাঁর আরটিআইয়ের উত্তরে আইআরসিটিসি বা ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন বলেছে ২.৯৮ লক্ষ ক্রেতা প্রত্যেক টিকিটে ৩৫ টাকা করে ফেরত পাবে। যার মোট পরিমাণ হচ্ছে ২.৪৩ কোটি টাকা। এঁদের মধ্যে অনেকেই হয়তো একের বেশি টিকিট কেটেছিলেন।
'৩৫ টাকা রিফান্ডের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, জিএসটি কাউন্সিল এবং অর্থমন্ত্রীকে ট্যাগ করে আমার বারবার করা ট্যুইটগুলি ২.৯৮ লক্ষ ব্যবহারকারীর টাকা ফেরতের অনুমোদনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে,' এক সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন সুজিত।
ঠিক কী ঘটেছিল?
৩০ বছর বয়সী এই ইঞ্জিনিয়ার গোল্ডেন টেম্পল মেলের ট্রেন টিকিট কেটেছিলেন কোটা থেকে নয়াদিল্লি যাওয়ার জন্য। ২০১৭ সালের এপ্রিলের মাসে টিকিট কাটেন। যাত্রার কথা ছিল ২ জুলাই, নতুন জিএসটি নিয়ম চালু হওয়ার ঠিক একদিন পরে। যদিও ৭৬৫ টাকা দিয়ে কাটা টিকিট তিনি ক্য়ান্সেল করেন এবং ফেরত পান ৬৬৫ টাকা। অর্থাৎ টিকিট বাতিল করার জন্য ৬৫ টাকার বদলে ১০০ টাকা কেটে নেওয়া হয় তাঁর।
সুজিত স্বামীর দাবি, ওই বাড়তি ৩৫ টাকা তাঁর সার্ভিস ট্যাক্স হিসেবে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি নয়া জিএসটি নিয়ম চালু হওয়ার আগেই টিকিট ক্যান্সেল করেছিলেন। সেই ৩৫ টাকা রিফান্ডের দাবিতে এতদিন বেজায় কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাঁকে। একাধিকবার আরটিআইয়ের আবেদন করেন তিনি। অবশেষে জয় হয়েছে সুজিতের।