নয়াদিল্লি: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের (Queen Elizabeth II) মৃত্যুতে কোহিনুরের মালিকানা নিয়ে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক। রানির ছেলে চার্লস ব্রিটেনের নয়া রাজা ঘোষিত হয়েছেন। কিন্তু মায়ের মুকুটে এ যাবৎ শোভা পেত যে কোহিনুর (Kohinoor), তা ফেরানোর কোনও সদিচ্ছাই এখনও দেখাননি তিনি বা রাজ পরিবারের কেউ।


বার বার অুরোধ করলেও কোহিনুর আজও ফেরত দেয়নি ব্রিটেন


ব্রিটেনের সরকারও এ ব্যাপারে নীরব। বরং চার্লসের স্ত্রী, ক্যুইন কনসর্ট ক্যামিলার হাতেই আপাতত উঠতে চলেছে কোহিনুর। তবে শুধু কোহিনুর নয়, বিভিন্ন উপনিবেশ থেকে আহরিত ব্রিটেনের বহুমূল্য সংগ্রহে রয়েছে আরও চোখ ধাঁধানো রত্নসমূহ, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গ্রেট স্টার অফ আফ্রিকা ডায়মন্ড, টিপু সুলতানের আংটি, রোসেটা স্টোন এবং এলগিন মার্বেল।


গ্রেট স্টার অফ আফ্রিকা ডায়মন্ড: পৃথিবীর বৃহত্তম হিরে। ওজন প্রায় ৫৩০ ক্যারাট। বাজারমূল্য প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ১৯০৫ সালে আফ্রিকার খনিতে প্রথম ওই হিরের হদিশ মেলে। পরবর্তী কালে তা সপ্তম এডওয়ার্ডের হাতে ওঠে। যদিও আফ্রিকার ইতিহাসবিদদের দাবি, ইংরেজ শাসকরা সেটি লুঠ করে নিয়ে যায়। রানির দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজদণ্ডে এতদিন শোভা পেত ওই হিরে।


টিপু সুলতানের আংটি: ১৭৯৯ সালে টিপু সুলতানকে যখন হত্যা করা হয়, তাঁর মৃতদেহ থেকে আংটিটি চুরি করা হয় বলে অভিযোগ। এর পর ব্রিটেনে গিয়ে পৌঁছয় সেটি। সেখানে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ১ লক্ষ ৪৫ হাজার পাউন্ডের বিনিময়ে সেটি ক্রয় করেন। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা।


আরও পড়ুন: Pakistan Flood: 'এমন ভয়ঙ্কর জলবায়ু বিপর্যয় আগে দেখিনি', পাকিস্তানের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য আন্তোনিও গুতেরেজের


রোসেটা স্টোন: ভারতের তরফে কোহিনুর ফেরত চেয়ে এর আগে একাধিক বার আবেদন জানানো হয়। একই সঙ্গে মিশরও রোসেটা স্টোন ফেরত পেতে চায়। বর্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রাখা রয়েছে সেটি।


মিশরের প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং সে দেশের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইংরেজ শাসক যে পাথরটি চুরি করে নিয়ে গিয়েছে, তার সপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব ১৯৬-এও যে মিশরে রোসেটা স্টোন ছিল, তার উল্লেখ মেলে ইতিহাসে। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ১৮০০ সালে ওই পাথর হাতিয়ে নিয়ে ইংরেজ শাসক।


লুঠের তালিকা দীর্ঘ, ভারত ছাড়াও রয়েছে অন্য দেশ


এলগিন মার্বেল: গ্রিসে এথেন্স সাগরের দেবী এথিনীর মন্দির পার্থেননের গায়ে বসানো ছিল দুর্মূল্য মার্বেল। ১৮০৩ সালে সেগুলো খুলে লন্ডনে পাঠিয়ে দেন লর্ড এলগিন। তাঁর নামানুসারেই নাম হয় এলগিন মার্বেল। ১৯২৫ সাল থেকে ওই মার্বেল ফিরে পেতে আবেদন জানিয়ে আসছে গ্রিস। কিন্তু আজও ব্রিটেনের মিউজিয়ামে তা শোভা পাচ্ছে।