কলকাতা: রাজস্থানে এক ৭০ বছর বয়সী ব্যক্তি এবং তাঁর ৬৮ বছর বয়সী স্ত্রী একত্রে আত্মহত্যা করেছেন। জানা গিয়েছে, ছেলে এবং বৌমার অমানুষিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন তারা। জলের কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তারা দুজনেই। তবে মৃত্যুর আগে (Rajasthan Couple Suicide) বাড়ির দামনের দেওয়ালে একটি নোট লিখে আটকে দিয়েছিলেন দুজনে। আর সেই নোট থেকেই জানা যায় আসল ঘটনা। সেই নোটে স্পষ্টই লেখা আছে যে তাদের সন্তান সম্পত্তির লোভে (Viral News) নানাভাবে তাদের উপর অত্যাচার করত। নিজের ছেলে হলেও বাবা-মাকে না খাইয়ে রাখত তারা।
সেই নোটে লেখা আছে, এমনও দিন গিয়েছে পাঁচ পাঁচদিন তাঁর ছেলে এবং বৌমা দুজনে মিলেই তাদের উপর যথেচ্ছ অত্যাচার করেছে। এমনকী তাদের খুনের হুমকিও দিয়েছিল ছেলে-বৌমা। খাওয়ার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল শুধু যেন তেন প্রকারেণ সম্পত্তি ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য। শেষে তাদের ছেলে বৌমা এমনও বলেছে যে বাটি হাতে নিয়ে তারা বাড়ি ছেড়ে যেন ভিক্ষে করতে বেরিয়ে যান।
হাজীরাম বিষ্ণোই (৭০) এবং তাঁর স্ত্রী ছাওয়ালি দেবী (৬৮) রাজস্থানের নাগৌরের বাসিন্দা, বৃহস্পতিবার কর্নি কলোনিতে তাদের বাড়িতে কুয়োর মধ্যে দম্পতির মৃতদেহ পাওয়া যায়। এই দম্পতির দুই পুত্র ও দুই কন্যা। তাদের মৃত্যুর আগে লিখে যাওয়া সুইসাইড নোটে স্পষ্ট লেখা আছে যে তাদের এক পুত্র রাজেন্দ্র বাবা-মা দুজনকে তিন তিনবার দেওয়ালে ধরে মাথা ঠুকে দিয়েছিলেন এবং সজোরে চড়ও মেরেছিলেন। অন্যদিকে সুনীল নামের আরেক পুত্রও দু'বার গায়ে হাত তুলেছিলেন বাবা-মায়ের। ছেলেরা তাদের হুমকি দিয়েছিল যদি তারা কোনও কথা কাউকে জানায় বা থানায় অভিযোগ দায়ের করে, তাহলে ঘুমের মধ্যেই তাদের মেরে ফেলা হবে। এই নোটে দম্পতি তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন তাদের ছেলে রাজেন্দ্র, সুনীল ও প্রণবকে এবং তাদের স্ত্রী রোশনি, অনিতা ও তাদের মেয়ে মঞ্জু ও সুনিতাকেও। নোটে তারা লিখেছেন যে আগেই তাদের প্রতারণা করে তিনটি প্লট ও গাড়ি নিজেদের নামে লিখিয়ে নিয়েছিলেন দুই ছেলে।
নাগৌরের পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট নারায়ণ টোগাস জানিয়েছেন সমস্ত তথ্য তারা পেয়েছেন বৃহস্পতিবার এবং বাড়ির ভিতরে কুয়োতে দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেহদুটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বাড়ির ভিতরে সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে কিছু ফুটেজও পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Tata Nexon CNG :টাটা নেক্সন সিএনজি, ডিজাইনের সঙ্গে একটি বিশ্বাসযোগ্য ডিজেল বিকল্প ?