Mango Variety: এই গরমকালে অসহনীয় দাবদাহ থাকা সত্ত্বেও একটা শান্তির বিষয় হল এই সময়ের মরশুমি ফল আর সেই ফলেদের মধ্যে রাজার রাজা হল আম। ভারতে যেমন ভৌগোলিক বৈচিত্র্য রয়েছে, তেমনই আমের (Precious Mango) উৎপাদনেও নানারকম বৈচিত্র্য চোখে পড়ে। ভারতে উৎপাদিত এবং বিক্রি হওয়া আমের মধ্যে বেশ অনেক রকম বৈচিত্র্য আছে। ন্যাশনাল হর্টিকালচার বোর্ডের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতে মোট ১৫০০টিরও বেশি প্রজাতির আম পাওয়া যায়। এরই মধ্যে ভারতের বেশ কিছু জায়গায় চাষ করা হয় জাপানের মিয়াজাকি প্রজাতির (Miazaki Mango) আম। এটি এমন একটি বিরল জাতের আম যার রঙ হয় লাল ও বেগুনি মেশানো। দামও তাই আকাশছোঁয়া। ৩ লাখ টাকায় এই জাতের মাত্র এক কেজি আম মিলবে।


সাধারণ আমের দাম যেমন খুব ভাল হলে ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত ওঠে প্রতি কেজিতে। তবে এই জাপানি প্রজাতির আমের ক্ষেত্রে এর প্রতি কেজির দাম শুরু হয় ২.৫ লাখ টাকা থেকে। জাপানের এই মিয়াজাকি আম ভারতের বেশ কিছু জায়গায় জন্মায়। জাপানের অন্যতম বিখ্যাত এই ফল। শিলিগুড়ি এবং রায়পুরে একটি প্রদর্শনী উৎসবে গত বছর এই আমের জাত দেখানো হয়েছিল।


এই মিয়াজাকি আম সাধারণত জাপানে পাওয়া যায়। ১৮৬৮ থেকে ১৯১২ সালের মধ্যে জাপানের মেইজেই শাসনকালে এই আমের উৎপত্তি হয়েছিল বলে জানা যায়। ১৯৭০ সাল থেকে এই আম ভালভাবে চাষ করা শুরু হয়। মাখনের মত টেক্সচার, রসাল শাঁস এবং সুগন্ধি মাংসের জন্য এই আম বিখ্যাত। মিয়াজাকি আম তাঁর মিষ্টতার কারণে সুপরিচিত। তবে প্রচুর সূর্যের আলো পড়ে এমন জায়গায় এই মিয়াজাকি আম উৎপন্ন হয়।


মূলত জাপানের মিয়াজাকি শহরে প্রথম এই আম জন্মায় বলে এর নাম শহরের নামেই রাখা হয়েছে। এই শহরে আম ছাড়াও উৎপন্ন হয় হিউগানাতসু, কিনকান বা কুমকাট ফল এবং লিচু। যে সময় এই আম প্রথম চাষ করা হয় সেই সময় এই শহরে আম চাষের জন্য ৮ ইউনিটের একটি ছোট খামার ছিল। পরে ধীরে ধীরে এই বিরল আম বেশিমাত্রায় চাষ করা শুরু হয়। ভারতেও এখন জাপানি এই জাতের আম চাষ হচ্ছে।


আরও পড়ুন: MP Salary: সাংসদ হলে মাসে বেতন কত? আর কী কী মেলে? রইল তালিকা