কলকাতা: ভাগ্যে যদি কোটিপতি যোগ থাকে, সেক্ষেত্রে পাথরও হয়ে যায় পরশপাথর। এই ঘটনাটি যেমন তেমনই। সাড়ে তিন কেজি ওজনের এক খণ্ড পাথর। দরজার কাছে অবহেলায় পড়ে ছিল দীর্ঘ দিন। এমনকী বাড়ির বৃদ্ধা মালিক বাদামী রঙের পাথরটি দরজা আটকানোর বস্তু হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন কয়েক দশক। কয়েক দশক পার করে হঠাৎই একদিন জানা গেল, সেই 'নুড়ি' আসলে বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান একটি পাথর। 

কিন্তু ঘটনা এখানেই সীমাবদ্ধ নয়, ওই বৃদ্ধার মৃত্যুর আরও কয়েক দশক পরে জানা গেছে পাথরটি এক অমূল্য রত্ন! বিচিত্র এই ঘটনা ঘটেছে ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায়।                                      

এক অমূল্য সম্পদ পড়েছিল বাড়িতে এটা জীবদ্দশায় ঘুণাক্ষরেও টের পাননি ওই বৃদ্ধা। ১৯৯১ সালে বৃদ্ধার মৃত্যুর পরে উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তি পেয়েছিলেন তার পরিবারের এক সদস্য। তিনি পাথরটি সন্দেহ হলে পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেন। তার সন্দেহ সঠিক প্রমাণিত হয়।

সম্প্রতি একটি স্প্যানিশ সংবাদপত্র ‘এল পাইসে’ জানিয়েছে, সেই পাথরটির আসল পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে। জানা গেছে, এটি সাধারণ কোনো পাথর নয়। এতে চোখ কপালে উঠেছে ওই ব্যক্তির।   তিনি ৮ কোটি টাকা দিয়ে এটিকে রোমানিয়ান প্রশাসনের কাছে বিক্রি করেন। পাথরটি পেয়েই একে জাতীয় সম্পদ হিসাবে ঘোষণা করে রোমানিয়া প্রশাসন।  রাস্তা থেকে কুড়িয়ে আনা একটি 'লালচে-হলদেটে পাথর' দিয়ে ঘর সাজিয়েছিলেন তিনি। বহু বছর পর জানা যায়, সেই 'নুড়ি' আসলে পেল্লায় একটি অ্যাম্বার স্টোন। ৩.৫ কিলোগ্রাম ওজনের সেই অ্য়াম্বার স্টোনটি দেখতে অসামান্য়! তার রঙে রয়েছে কাঁচা হলুদ আর লালের মিশেল! আজকের বাজারে যার দাম প্রায় ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা) ।                                                                  

আরেকটি মজার বিষয় হচ্ছে, বহু বছর আগে ওই বৃদ্ধার বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। বেশ কয়েকটি গয়না নিয়ে চুরি হলেও পাথরখণ্ড অক্ষত ছিল। রোমানিয়ার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পাথর ৩৮ থেকে ৭০ মিলিয়ন বছর আগের হতে পারে।