Viral Video: মাথার উপর দূর আকাশ দিয়ে প্লেন উড়ে গেলেও একবার তাকিয়ে দেখেন প্রায় সকলেই। হালফিলে এই আগ্রহ জন্মেছে ড্রোনের (Drone) প্রতিও। আজকাল এরিয়াল ফটোগ্রাফি কিংবা ভিডিওগ্রাফি করার জন্য আদর্শ হল এই ড্রোন। বিয়েবাড়িতেও আজকাল ড্রোন উড়িয়ে ওয়েডিং শুটিং করা হয়। তবে এই ড্রোন মাথার উপর উড়তে দেখে এক কুমির যে কান্ড করেছে, তা দেখে অবাক সকলে। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও (Viral Video)। তা দেখে অবাক নেটিজেনরা।
ট্যুইটারে ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছে জলের মধ্যে একটু মাথা উঁচু করে রয়েছে কুমিরটি। তার মাথার উপরে উড়ছে একটি ড্রোন। কুমিরটিকে দেখে বোঝাই যাচ্ছে তার নজর রয়েছে ওই ড্রোনের দিকে। অনেকক্ষণ ধরে ওই ড্রোনটিকেই নিশানা করে রেখেছে কুমিরটি। তারপর সুযোগ বুঝেই দিয়েছে একলাফ। প্রায় ড্রোনটি গিলেই নিচ্ছিল কুমিরটি। কিন্তু যিনি ড্রোনটি পরিচালনা করছিলেন তিনি এক নিমেষে ড্রোনটিকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তাই এ যাত্রায় ওই যন্ত্র অক্ষত রয়েছে। নাহলে কুমিরের গ্রাস থেকে কিছুই ফেরানো বেশ মুশকিল। আকার, আয়তনে বেশ বড় ছিল কুমিরটি। লম্বা থাকার কারণে অনায়াসেই প্রায় নাগাল পেয়ে গিয়েছিল ড্রোনটির। কিন্তু হাঁ মুখ করে গিলতে গেলেও, শেষ পর্যন্ত আর কার্যসিদ্ধি হয়নি।
ট্যুইটারে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওর বিউ, লাইক এবং কমেন্টের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এই ভাইরাল ভিডিও দেখা নেটিজেনদের অনেকেই বলেছেন, কুমির যে এভাবে ড্রোন দেখে উত্তেজিত হয়ে ওরকম পেল্লাই এক লাফ দিতে পারে সেটা কারওরই কল্পনায় ছিল না। আর তাই কুমিরটি জলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকলেও তার মতলব সেভাবে বোঝা যায়নি। ওভাবে একলাফে কুমিরটি যে ড্রোনটিকে গিলে খেতে যাবে সেটা বোধহয় কেউ কল্পনা করেননি।
আরও পড়ুন- তিন ঘণ্টা স্তব্ধ হৃদস্পন্দন, দৈবস্পর্শে ফিরল প্রাণ! ভাইরাল ‘মিরাকল শিশু’
ড্রোনে করে উড়ে বাড়িতে এল পেনশন
পেনশন (Pension) তোলার জন্য আর যেতে হচ্ছে না সরকারি অফিসে। বরং ড্রোন (Drone) বাড়ি এসে পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছে পেনশন। শুনে অবাক লাগছে? কিন্তু এমনটাই হয়েছে সম্প্রতি। আকাশপথে বাড়ির ঠিকানায় উড়ে এসেছে ড্রোন। সঙ্গে নিয়ে এসেছে পেনশনের টাকা। ওড়িশায় এক ব্যক্তির জন্য চালু হয়েছে এই বিশেষ সুবিধা। ওড়িশার প্রত্যন্ত গ্রামের এক বাসিন্দা যিনি বিশেষভাবে সক্ষম, তিনি পেয়েছেন এই পরিষেবা। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম হেতারাম সতনামি। বিশেষ ভাবে সক্ষম এই ব্যক্তি ওড়িশার পশ্চিম অংশের Nuapada জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাস করেন। প্রতি মাসে ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে আসতে হতো এই ব্যক্তিকে। তারপর সরকারি পেনশন সংগ্রহ করতে পারতেন হেতারাম। তবে এই মাসে আর পেনশন সংগ্রহের জন্য এত পরিশ্রম করতে হয়নি ওই ব্যক্তিকে। কারণ পঞ্চায়েত প্রধানের উদ্যোগে ড্রোনে করে ওই ব্যক্তির বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে পেনশনের টাকা।