নয়াদিল্লি: চেয়ারে বসে একরত্তি। আর তার গলায় ঝুলছে সাপ। কখনও সাপের লেজ ধরে টানছে শিশুটি, কখনও আবার তুলে আনছে মুখে কাছে। বাধা দেওয়া তো দূর, বরং সাপের সঙ্গে খেলায় মজে থাকা শিশুটির ভিডিও একনাগাড়ে রেকর্ভিড করতে থাকেন এক ব্যক্তি। সেই ভিডিও সামনে আসতেই শোরগোল সোশ্যাল মিডিয়ায়। শিশুটিকে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ফেলে ভিডিও রেকর্ডিং করা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। প্রশ্ন উঠছে পরিবারের দায়িত্বজ্ঞান নিয়েও। (Viral Video)


সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে ওই ভিডিও সামনে আসে। ভিডিও-য় দেখা যায়, কাঠের চেয়ারে বসে রয়েছে শিশুটি। তার গলায় ঝুলছে একটি সাপ। বিপদ না বুঝেই সাপটিকে নিয়ে খেলতে থাকে শিশুটি। কখনও মালার মতো গলায় পরে, কখনও আবার কোলে নামিয়ে আনে। কখনও লেজ ধরে টানে, কখনও আবার মুখের কাছে তুলে আনে সাপটিকে। হঠাৎ সাপটি জিভ বের করায় শিশুটি চমকেও যায়। তার পরও সাপটিকে নিয়ে খেলতে দেখা যায়। (Child Playing with Snake)


এই গোটা পর্বে সাপ নিয়ে খেলতে থাকা শিশুটির ভিডিও রেকর্ড করেন এক ব্যক্তি। একটিবারের জন্যও সাপটিকে তাড়াতে, বা শিশুটিকে সরিয়ে আনতে দেখা যায়নি কাউকে। বরং সাপটি যখন চেয়ার থেকে নেমে পিছনের ঘরে ঢুকতে যায় এক যুবক এসে ধরে ফেলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি সামেন আসতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। শিশুটির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অনেকেই। শিশুটির না হয় বিপদ বোঝার বোধ নেই, বাড়ির লোকজন নির্বিকার থাকেন কী করে, প্রশ্ন তোলেন।



@vivek_Choudhary_Snake_Saver নামের একটি পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তা কুড়োতে শিশুটিকে কেন বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হল, প্রশ্ন করেন অনেকেই। একজন লেখেন, 'শিশুদের বিপদে ঠেলে দেওয়ার মতো বেপরোয়া হয়ে ওঠাও ঠিক নয়। শিশুটির যত্ন নিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইক কুড়োতে গিয়ে শিশুটির সঙ্গে মারাত্মক কিছু ঘটে যেতে পারে'। আর একজন লেখেন, 'মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটেছে কি? শিশুটিকে কখনও সাপের সঙ্গে খেলতে দেওয়া যায়?'


ভিডিও রেকর্ড করছিলেন যিনি, তাঁর উপরও ক্ষোভ উগরে দেন অনেকে। একজন লেখেন, 'হাতে কী ধরে রয়েছে, তা বোঝার ক্ষমতা নেই শিশুটির। কামড়ে দিলে কী ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পার!' অন্য আর একজন লেখেন, 'এমন বিপজ্জনক ভিডিও বানাবেন না দয়া করে। লাইক ও ভিউ পাওয়ার জন্য শিশুটির জীবন নিয়ে খেলছেন। এখনই বন্ধ করুন এসব। খুব খারাপ পরিণতি হতে পারত'। বহু মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন এখনও পর্যন্ত। তবে সমালোচনা সত্ত্বেও ভিডিওটি সরাননি ওই পেজের মালিক।