ভোপাল: ভারী বর্ষণে জল থইথই চারিদিক। গায়েব হয়ে গেল রেললাইনও। আগে পিছে রাস্তা না পেয়ে থেমে গেলও ট্রেনও। শেষ পর্যন্ত সহায় হলেন রেলকর্মীরা। ছাতা মাথায়, হাতে টর্চ এবং লাঠি নিয়ে তাঁরা পথ দেখালেন। সেই মতো পিছু পিছু চাকা গড়াল ট্রেনের। মধ্যপ্রদেশে থেকে এমনই ভিডিও সামনে এসেছে, যা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। (Viral Video)
মধ্যপ্রদেশের কাটনি থেকে এমন দৃশ্য উঠে এসেছে। ভারী বৃষ্টির পর সম্প্রতি রেললাইনও জলের নীচে চলে যায়। এর ফলে স্লীমনাবাদ এবং ডুন্ডি স্টেশনের মাঝে আটকে পড়ে একটি ট্রেন। ট্রেনের চড়া আলো ফেলেও রেললাইন দেখতে পাচ্ছিলেন না ট্রেনের চালক। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রেলকর্মীদের ডেকে পাঠানো হয়। তাঁরাই এসে উপায় বাতলে দেন। (Madhya Pradesh Rainfall)
সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিওটি সামনে এসেছে, তাতে চারিদিকে জল থৈ থৈ হয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, রেলের তিন পয়েন্টসমেন রেললাইনের মধ্যেকার জায়গা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। টর্চের আলো ফেলে, লাঠি ঠুকে ঠুকে রাস্তা দেখিয়ে চলেছেন। তাঁদের দেখানো পথ ধরে পিছু পিছু, ধীর গতিতে এগিয়ে আসছে ট্রেনটি।
আরও পড়ুন: Viral Video: চুরি করতে এসে মাথায় হাত! রেগেমেগে গৃহস্থকেই টাকা দিয়ে গেল চোর
ওই ভিডিওটি দেখে যদিও ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে। নেটিজেনদের কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'বুলেট ট্রেন চালানোর স্বপ্ন দেখছি আমরা। অথচ রেলের এই অবস্থা'। পয়েন্সটমেনদের কেন জলে নামানো হল, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। তাঁদের কথায়, 'ইয়ার্কি হচ্ছে নাকি? বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে পারতেন ওঁরা'।
অন্য একজন লেখেন, 'গর্ত থাকলে আগে একজন মারা যাবেন। সেই দেখে আর এগোবে না ট্রেন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রযুক্তির সাহায্য কি নেওয়া যেত না'? এই পরিকাঠামোর জন্য এত এত কর কেন নেওয়া হয়, এই প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ। এ নিয়ে রেলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। গত কয়েকদিন ধরেই ভারী বৃষ্টি হয়ে চলেছে মধ্যপ্রদেশে। ৩১ জুলাই পর্যন্ত ভারী বর্ষণ চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।