অন্ধ্রপ্রদেশ: অন্ধ্রপ্রদেশের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক আপত্তিকর ঘটনার ভিডিয়ো সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে এক শিক্ষিকা তথা লেকচারারকে জুতো খুলে মারছেন সেই কলেজেরই এক ছাত্রী, পরে হাতাহাতিও হয় তাদের মধ্যে। এলোপাথাড়ি চড় মারতে থাকেন সেই ছাত্রী। জানা গিয়েছে কলেজ ক্যাম্পাসে (Lecturer Assaulted) ফোন ব্যবহার করায় ফোন বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছিলেন সেই শিক্ষিকা আর এই কারণেই তাঁর উপর চড়াও হন জনৈক ছাত্রী। ২১ এপ্রিল এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে সমাজমাধ্যমে। বিশাখাপত্তনমের সীমান্ত এলাকার এই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করার কারণে শিক্ষিকাকে গালিগালাজ (Viral Video) করেন জনৈক ছাত্রী এবং পরে তাঁর গায়েও হাত তুলতে দ্বিধাবোধ করেন না। এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই তুমুল চাঞ্চল্য সমাজমাধ্যমে।

সংবাদসূত্রে জানা যাচ্ছে, এই শিক্ষিকা প্রথমেই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের নিষেধ করেছিলেন কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে জোরে জোরে ফোনে কথা বলা যাবে না। কিন্তু এই নিষেধ কেউ না শোনায় বাধ্য হয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে হয় তাঁকে। তিনি সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ফোন বাজেয়াপ্ত করে নেন। নিষেধ অমান্য করে বারংবার ফোনে কথা বলে যাচ্ছিলেন জনৈক ছাত্রী।

প্রথমে সেই ছাত্রীটি শিক্ষিকার সামনে দাঁড়িয়ে তাকে চূড়ান্ত গালিগালাজ করতে থাকে। কিন্তু এই ঘটনা আরও খারাপ পর্যায়ে যায় যখন সেই ছাত্রীটি তাঁর পায়ের জুতো খুলে শিক্ষিকাকে মারতে থাকেন। অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের সামনেই শিক্ষিকার গায়ে হাত তোলেন সেই ছাত্রী। আর পিছনে দাঁড়িয়ে সেই কলেজেরই এক ছাত্র ফোনে সম্পূর্ণ ঘটনাটি রেকর্ড করেন। এই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। আর মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। তারপর থেকেই তুমুল চর্চা, নিন্দা শুরু হয়েছে নেট দুনিয়ায়।

https://twitter.com/UttarandhraNow/status/1914507495374250493

কিছু সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা ও শ্রদ্ধার মান অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বেশ কয়েকজন নেটিজেন ছাত্রীটির অভদ্র আচরণের জন্য তাঁকে চূড়ান্ত নিন্দা করেছেন। একজন লিখেছেন, 'এই আজকালকার ছাত্র-ছাত্রীদের যা খুশি তাই করতে দিন, তাদের সংশোধন করার চেষ্টা করবেন না। ৯০ দশকের বাচ্চাদের মত নেই আর তারা। তারা স্পষ্টভাবে জানে যে তারা ভুলপথে আছে এবং সময় যখন তাদের পিছনে ফিরে আসে তখন তাদের বুঝতে দেয়।'

আরেকজন লিখেছেন, 'এই ধরনের ছাত্রদের মোটেও মাথায় তোলা উচিত নয়। আমি আপনাকে অনুরোধ করছি সেই ছাত্রীটিকে কলেজ থেকে বহিস্কার করা হোক। এমনকী এই ছাত্রীকে ক্যারেক্টার সার্টিফিকেটে ব্যাড লিখে টিসি দেওয়া উচিত'।