নয়া দিল্লি: রেললাইনে এক আজব ঘটনা। যার জেরে বন্ধই হয়ে গেল ট্রেন চলাচল। রীতিমতো নাজেহাল হতে হল রেলকর্মীদেরও। রেললাইনের মাঝামাঝি বেপরোয়া গতিতে চার চাকা গাড়ি চালিয়ে ছুটলেন এক তরুণী। থামানোর চেষ্টা করেও বিশেষ লাভ হয়নি। শেষমেশ পরিণতি হল ভয়ঙ্কর।
এদিকে, এই ঘটনার জেরেই এই রেললাইনে পরপর ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যাত্রীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদের মধ্যে ট্রেন চলাচল কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায়। যার জেরে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে অগু ণিত যাত্রীকে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে শঙ্করপল্লী থেকে হায়দরাবাদের মাঝামাঝি রেলপথে। সেই রেললাইনের মাঝামাঝি বেপরোয়া গতিতে চার চাকা গাড়ি চালান এক তরুণী। রেলকর্মীরা বারবার থামানোর চেষ্টা করেও পারেননি। অবশেষে গাড়ি নিয়ে অন্য লাইনে যেতেই সোজা একটি গাছে গিয়ে ধাক্কা খান তরুণী।
সজোরে ধাক্কার পরেই গাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ে। তরুণীও আহত হন। এরপরই তাঁকে আটক করে রেল পুলিশ। জানা গেছে, মত্ত অবস্থায় তরুণী রেললাইনের ওপর দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। বড়সড় বিপদের আশঙ্কাও ছিল।
অনেকেই এই ঘটনার ভিডিও করে সোশাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে রেল-কে ট্যাগ করেছে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য। যদিও গাড়িটি একটি গাছে ধাক্কা মারার পরে ওই মহিলাকে আটক করা হয়। কী কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন তিনি, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁকে। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে যে সে লখনউয়ের বাসিন্দা এবং হায়দ্রাবাদের একটি আইটি কোম্পানিতে কাজ করত। সম্প্রতি সে তার চাকরি হারিয়েছে। রেলওয়ে পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, 'মুখোশ পরা মহিলা চালক লোহার রড নিয়ে নেমে যান এবং তার কাছে আসতে চাইলে লোকজনের দিকে পাথর ছুঁড়ে মারেন। রেলওয়ে কর্মীরা তাকে ধরে ফেলেন এবং শঙ্করপল্লী পুলিশের হাতে তুলে দেন'।
এদিকে রেলসূত্রে খবর, এভাবে রেললাইনে গাড়ি চালানোয় রেল লাইনের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লাইনের মধ্যেভাগের বেশ কিছু অংশ ভেঙেও গিয়েছে। সেই সব ক্ষতিগ্রস্ত অংশ চিহ্নিত করে তা মেরামতি কাজ শুরু করেছে রেলকর্মীরা।