কলকাতা: প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ বা অন্য কোনও বিপদ। সাধারণ মানুষ দুর্বিষহ অবস্থায় পড়লেই তাদের সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। দেশে-বিদেশে এমন বহু সংগঠন রয়েছে। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির তালিকা করলেই একদম প্রথমদিকেই যে নামটি আসে সেটি রেড ক্রস (Red Cross)। আর্তদের চিকিৎসা, সেবা এবং আরও নানারকম সেবামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত এই সংগঠন। এদের কাজের কারণেই প্রতিবছর ৮ মে পালিত হয় বিশ্ব রেড ক্রস দিবস। এটিকে বিশ্ব ক্রেসেন্ট দিবস হিসেবেও পালন করা হয়। সাধারণত খ্রিস্টান অধ্যুষিত দেশ এবং অন্যান্য দেশে রেড ক্রস নাম ব্যবহার করা হয়। মুসলিম রাষ্ট্রগুলিতে এই সংগঠনটিই রেড ক্রেসেন্ট নামে পরিচিত। (World Red Cross and Red Crescent Day)


ইতিহাস:
১৯৪৮ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক রেড ক্রস দিবস পালন করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দি রেড ক্রস (International Committee of the Red Cross)-এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হেনরি দুনান্ত (Henry Dunant)। তাঁর জন্মদিন ১৮২৮ সালের ৮ মে। সেই দিনটিকেই আন্তর্জাতিক রেড ক্রস দিবস হিসেবে পালন করা হয়। নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন হেনরি দুনান্ত।


গুরুত্ব:
ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রস (International Red Cross) এবং রেড ক্রেসেন্ট (Red Crescent) আন্দোলন নিয়ে সচেতনতা প্রচার করা হয় এই দিনটিতে। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা এই সংগঠনে বহু কর্মী কাজ করেন। কাজ করেন বহু স্বেচ্ছাসেবীও। তাঁদের অবদানকে স্মরণ রাখে এই দিনটি। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিকূল পরিবেশে আর্তদের পাশে দাঁড়িয়ে সেবার কাজ করেন এই কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা। বিশ্ব জুড়ে সামাজিক কাজ, সেবার কাজ চালানোর জন্য এই সংগঠন ও কর্মীদের অবদান অনস্বীকার্য। 


মূল ভাবনা:
মানবিকতা, পক্ষপাতিত্ব না করা, নিরপেক্ষ থাকা, স্বাধীনতা, স্বেচ্ছাশ্রম, একতা-এই ভাবনাগুলির উপর দাঁড়িয়ে গোটা কর্মকাণ্ড চলে রেড ক্রস সোসাইটির। ভারতেও রয়েছে এর শাখা।   


আরও পড়ুন: ভয় নয়, থ্যালাসেমিয়া জয়ে মূলমন্ত্র সচেতনতাই