ওয়াহু (হাওয়াই): ফিরে এসেছে 'উইসডম' (wisdom)! দর্শন নয়, মানুষের জানা প্রাচীনতম (oldest) বন্য পাখির (wild bird) প্রতিনিধির কথা হচ্ছে এখানে। প্রায় এক দশক পর প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর দিকে, চেনা জায়গাতেই ফিরে এসেছে পাখিটি। প্রজাতির নাম 'লেসান অ্যালবাট্রস' (Laysan albatross)। এক ধরনের দৈত্যাকার এই সি-বার্ডকেই (sea bird) পৃথিবীর প্রাচীনতম বন্য পাখি বলে জানেন বিশেষজ্ঞরা। দশক পেরিয়ে নিজের চেনা প্রজননে জায়গায় তার ফিরে আসা ঘিরে উৎসাহ তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীমহলে। এদিন পাখিটির ছবি ট্যুইট করে এই খবর দেয় মার্কিন মৎস্য ও বন্যপ্রাণ পরিষেবা দফতর।


কে তুমি 'উইসডম'?
মার্কিন মৎস্য ও বন্যপ্রাণ পরিষেবা দফতর ট্য়ুইটে যে তথ্য দিয়েছে, সেটি অনুযায়ী এই 'লেসান অ্যালবাট্রস' বা 'মলি'-র বয়স অন্তত ৭১। ১৯৫৬ সালে প্রথম ডিম পাড়ে সে। তার পরই বিজ্ঞানীরা তাকে চিহ্নিত করে। সেই সময়ই নাম দেওয়া হয় 'উইসডম'। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই দৈত্যাকার সি-বার্ডের বয়স বছরপাঁচেক হওয়ার আগে সাধারণত ডিম পাড়ে না। এখনও পর্যন্ত 'উইসডম' অন্তত ৫০-৬০টি ডিম পেড়েছে। ৩০টি ছানাকে প্রতিপালন করেছে। এতেই শেষ নয়। বিশেষজ্ঞরা জানতে পেরেছেন, গত বছর 'উইসডম' ঠাকুমাও হয়েছে। সব মিলিয়ে ভরপুর সংসার।

সঙ্গী কোথায়?
মার্কিন মৎস্য ও বন্যপ্রাণ পরিষেবা দফতর অবশ্য 'উইসডম'-কে নিয়ে যতটা খুশি, তার সঙ্গী 'আকিয়াকামাই'-কে নিয়ে ততটাই চিন্তিত। চলতি বছর, আমেরিকার 'মিডওয়ে অ্যাটঅল ওয়াইল্ডলাইফ রিফিউজ'-এ একবারও দেখা যায়নি তাকে। এই দম্পতির কনিষ্ঠতম সন্তান সম্ভবত ২০২১ সালে পৃথিবীর আলো দেখেছিল। তার পর থেকেই আর খোঁজ নেই 'আকিয়াকামাই'-র। এদিকে থ্যাঙ্কসগিভিং ডে-তেও দেখা গিয়েছিল 'উইসডম'-কে। এবার ফের দেখা গেল। তবে প্রশান্ত মহাসাগরের ঠিক যে অঞ্চলে সে প্রজননের জন্য আসে, সেই অঞ্চলে দশক পেরিয়ে ফিরেছে 'উইসডম'। আপাতত এটি নিয়েই খুশিতে মাতোয়ারা নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, 'এই পাখিটি আমার মা-বাবার থেকেও বয়সে বড়।' আর এক জনের বক্তব্য, 'উইসডম-ই একমাত্র তারকা যার খোঁজখবর রাখি।' মোটের উপর তার পুনরাগমনে খুশির মেজাজ। এবার তার সঙ্গী ফিরলে নিশ্চিন্ত হন পর্যবেক্ষকরা। কবে আসবে সে? অপেক্ষায় তাঁরা।


আরও পড়ুন:একটা সিগারেট চাইলে দেবে না দোকান ! কেন 'সিঙ্গল সিগারেট' নিষিদ্ধ করতে চাইছে সরকার ?