নয়া দিল্লি: ভারতে এমন একাধিক জায়গা রয়েছে যার সম্পর্কে অনেক কথা অনেকেরই অজানা। আজ এমন একটি রাস্তার কথা জানাতে চলেছি যা খুব সুন্দর তো বটেই। পাশাপাশি এই জায়গা থেকে নিরাপদে ফেরাও কিন্তু ততটা কঠিন। এই এলাকায় যদি অ্যাডভেঞ্চার করতে গিয়ে বেশি সাহস যদি দেখিয়ে ফেলেন তাহলে সেটাই শেষযাত্রা হতে পারে। কারণ এই রাস্তাটি প্রায়শই প্রকৃতির রোষানলে পড়ে। বিপদ এখানে ওৎ পেতে অপেক্ষা করে। 


শ্রীনগর থেকে লে যাওয়ার পথে রয়েছে জোজি লা পাস। ভয়ানক সংকীর্ণ এই রাস্তাটি বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর এবং বিপজ্জনক রাস্তা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর জোজি লা পাসের উচ্চতা প্রায় ১১ হাজার ফিট বা তিন হাজার মিটার। বছরের প্রায় সমস্ত সময়ই এই রাস্তা বরফে আবৃত থাকে। প্রায়ই ধস নামে। এটি ন্যাশনাল হাইওয়ে 1D-তে অবস্থিত এবং শ্রীনগরকে লেহ-এর সঙ্গে যুক্ত করতে কাজ করে। এই পথটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয় কারণ এটি অনেক উঁচু এবং একপাশে গভীর খাদ রয়েছে। 


শ্রীনগর হয়ে সোনামার্গ যেতে হলে জোজিলা পাস দিয়ে যেতে হবে। জোজিলা পাসের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কিমি, তবুও এটি অতিক্রম করতে প্রায়ই বেশ কয়েক ঘন্টা লাগে। শীতকালে এই পথটি বন্ধ থাকে, প্রচণ্ড তুষারপাতের কারণে এখানে বরফের ঘন চাদর জমে থাকে। যার কারণে এই সময়ে লাদাখে অনেক পণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হয়। বর্ষাকালে এই রাস্তাটি সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। 


আরও পড়ুন, আপনার স্বপ্নে কি মাঝেমধ্যে কোনও ব্যক্তি উপস্থিত হয়? এর নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে?


তবে জোজিলাকে বিপদমুক্ত করতে টানেলের কাজ চলছে।  টানেল পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা তৈরির পর ২০২১ এর মে মাসে থেকেই এই জোজিলা প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়েছিল। হিমালয়ের পার্বত্য এলাকার মধ্য দিয়ে টানেল তৈরি করা সবসময়ই এক কঠিন কাজ।


এই জোজিলা প্রজেক্ট কাশ্মীর উপত্যকাকে লাদাখের সঙ্গে যুক্ত করবে। ২০২০ সালের ১ অক্টোবর মেইল সংস্থাকে এই টানেল তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল। মোট ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলটি দুটি ভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগটি দৈর্ঘ্যে ১৮ কিলোমিটার। প্রথম টানেলে থাকছে দুটি টিউব। প্রথম টিউবটি দৈর্ঘ্যে ৪৭২ মিটার এবং দ্বিতীয় টিউবটির দৈর্ঘ্য ৪৪৮ মিটার। টানেলের দ্বিতীয় ভাগের টিউব দুটির প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২ কিলোমিটার করে।