Anil Ambani: ভাগে পেয়েছিলেন লাভজনক ব্যবসাই, ধরে রাখতে পারলেন না অনিল, জলের দরে বিকোচ্ছে রিলায়্যান্স ক্যাপিটাল
ভাগাভাগিতে লাভজনক ব্যবসাগুলিই হাতে পেয়েছিলেন। কিন্তু যত সময় এগিয়েছে, ততই মুখ থুবড়ে পড়েছে একের পর এক ব্যবসা। দাদা মুকেশ আম্বানি যেখানে মুকুটে একের পর এক পালক যুক্ত করেছেন, সেখানে পিছিয়ে পড়তে পড়তে একেবারে মাঠের বাইরে চলে গিয়েছেন অনিল আম্বানি।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএবার নিজের সংস্থার মালিকানা ছাড়তে রাজি হলেন অনিল। রিলায়্যান্স ক্যাপিটাল সংস্থাটিকে বিক্রি করতে চলেছেন তিনি। ২০১৮ সালের হিসেবে রিলায়্যান্স ক্যাপিটালের বাজারমূল্য ছিল ৯৩ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা।
সেই সংস্থাই বিক্রির সিদ্ধান্ত নিলেন অনিল। তবে এতে অবাক হওয়ার কারণ দেখছেন না বাজার বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, বেশ কিছু দিন ধরেই কথাবার্তা চলছিল। দরাদরি চলছিল অনেকের সঙ্গে। অবশেষে সমঝোতায় এসেছেন দুই পক্ষ।
কিন্তু কাদের নিজের সংস্থা বিক্রি করছেন অনিল? দাদা মুকেশ বা পরিবারের অন্য কাউকে কি? এক্ষেত্রে জবাব নেতিবাচক। এখনও পর্যন্ত যা খবর মিলেছে, হিন্দুজা গ্রুপকে রিলায়্যান্স ক্যাপিটাল বিক্রি করতে চলেছেন অনিল। বিগত কয়েক বছরে লোকসান ছাড়া লাভের মুখ দেখেনি রিলায়্যান্স ক্যাপিটাল। গ্রাহকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা ক্রমশই হারিয়েছে ওই সংস্থা। ঋণের বোঝাও বাড়ছিল ক্রমশ। তাতে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে লাগাতার চাপ বাড়ছিল। শেষ মেশ সংস্থা বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনিলের।
বিগত কয়েক বছরে লোকসান ছাড়া লাভের মুখ দেখেনি রিলায়্যান্স ক্যাপিটাল। গ্রাহকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা ক্রমশই হারিয়েছে ওই সংস্থা। ঋণের বোঝাও বাড়ছিল ক্রমশ। তাতে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে লাগাতার চাপ বাড়ছিল। শেষ মেশ সংস্থা বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনিলের।
এ বছর এপ্রিল মাসে রিলায়্যান্স ক্যাপিটালের নিলাম শুরু হয়। তাতে হিন্দুজা গ্রুপের তরফেই সবচেয়ে বেশি দর হাঁকা হয়। তারা ৯ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা দর ধরায়। ইন্ডাসিন্ড ইন্টারন্যাশনালের তরফে দর হাঁকা হয় ৮ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা।
কমিটি অফ ক্রেডিটর্সের তরফে রিলায়্যান্স ক্যাপিটালের ন্যূনতম মূল্য ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা রাখা হয়। তার থেকে সামান্যই বেশি দর ধরিয়েছে হিন্দুজা গ্রুপ। তবে সেই টাকা যাবে বিনিয়োগকারীদের কাছেই।
ঋণভারে জর্জরিত রিলায়্যান্স ক্যাপিটলের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগও রয়েছে। তার জেরে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে রিজার্ভ ব্যঙ্ক অফ ইন্ডিয়া রিলায়্যান্স ক্যাপিটালের বোর্ডকে খারিজ করে দেয়।
নতুন করে নাগেশ্বর রাও ওয়াইকে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিযুক্ত করা হয়। শুরু হয় সংস্থাকে দেউলিয়া ঘোষণার প্রক্রিয়া। ব্যাঙ্ক বা হলেও, দেশের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সংস্থা হিসেবে রিলায়্যান্সের বিরুদ্ধে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়।
রিলায়্যান্স ক্যাপিটালের এমন পরিণতি দুর্ভাগ্যজনক বলেই মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। কারণ কয়েক বছর আগে পর্যন্ত তাদের সমকক্ষ কেউ ছিল না। সেই সংস্থা এমন ‘জলের দরে’ বিকিয়ে যাবে, কল্পনা করা যায়নি বলে মত সকলের।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -