Fired CEO and Founders: মোটা বেতন, উচ্চপদ..নিমেষে শেষ! ঘাড়ধাক্কা খেয়েছিলেন এঁরাও
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্টার্টআপ ওপেন এআই (OpenAI) থেকে স্যাম অল্টম্যানকে বহিষ্কারের পর থেকে উত্তপ্ত ছিল আন্তজার্তিক প্রযুক্তি ব্যবসার বাজার। বহু আলোচিত ঘটনাও এটি। যদিও প্রযুক্তি ও ব্যবসার জগতে এটিই প্রথম হাই প্রোফাইল কেস নয়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appস্যাম অল্টম্যান এখন শিরোনামে রয়েছেন। তিনি OpenAI-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন,এই স্টার্টআপ টেক কোম্পানি চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) তৈরি করেছে। ওপেন এআই-এর বোর্ড গত সপ্তাহে কোম্পানি থেকে স্যাম অল্টম্যানকে বহিষ্কারের ঘোষণা করেছিল।
মাঝে শোনা গিয়েছিল তিনি মাইক্রোসফটে (Microsoft) যোগ দেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আবার OpenAI-তেই ফিরেছেন তিনি। তাঁকে ফিরিয়ে পুনর্বহাল করা হয়েছে। যদিও বোর্ডের মধ্যের এই দ্বন্দ্ব সারা বিশ্বে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এর আগেও প্রযুক্তি জগতের অনেক বড় সিইওকে তাঁদের সংস্থা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
স্টিভ জোবস (Steve Jobs) অ্যাপলকে বিশ্বের অন্যতম বড় এবং সফল টেক সংস্থায় পরিণত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, কিন্তু তিনি ১৯৮৫ সালে সংস্থা থেকে সরে যেতে হয় তাঁকে। সেই সময় অ্যাপলের বয়স ছিল মাত্র ৯ বছর। সেই সময়ের অ্যাপলের CEO জন স্কুলির সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে চাকরি ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। তার অনেক বছর পরে ১৯৯৭ সালে, স্টিভ জবস আবার অ্যাপলে ফিরে আসেন এবং এবার তাঁকে সিইও করা হয়।
টুইটারের (অধুনা X) সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি (Jack Dorsey) প্রযুক্তি জগতের একটি পরিচিত নাম। ২০০৮ সালে বোর্ড তাকে সিইও পদ থেকে সরিয়ে দেয় কারণ বোর্ডের মতে, তিনি কোম্পানির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অযোগ্য ছিলেন। পরে, একটি কারণও সামনে এসেছিল, তাতে দাবি করা হয়েছিল যে ডরসি যোগ ক্লাস এবং ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের জন্য কাজ থেকে তাড়াতাড়ি চলে যেতেন, যার কারণে অনেকেই খুশি ছিলেন না। তিনি ২০১৫ সালে আবার ফিরে আসেন এবং ২০২১ সালে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত সিইও ছিলেন।
স্টার্টআপ উবারের প্রতিষ্ঠাতা ট্র্যাভিস ক্যালানিকের ঘটনাটি অনেক আলোচিত হয়েছিল। তিনি উবারের সিইও পদে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ অনেক গুরুতর অভিযোগ ছিল। এর পরে বোর্ড কালানিককে কোম্পানি ছাড়ার জন্য চাপ দেয়, যার কারণে তাঁকে পদ থেকে সরে যেতে হয়।
ইলন মাস্ক (Elon Musk) বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। টেসলা থেকে স্পেসএক্স - তার অনেক ব্যবসায়িকভাবে সফল সংস্থা আছে, কিন্তু এক সময় তাঁকেও তাঁর নিজের কোম্পানি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। মাস্ক তখন পেপ্যালের সিইও ছিলেন।
ব্যবসায়িক কৌশল নিয়ে মতপার্থক্যের পর বোর্ড তাঁকে ২০০০ সালে সংস্থা থেকে বহিষ্কার করে। সেই সময় অস্ট্রেলিয়ায় ছুটি কাটাচ্ছিলেন মাস্ক। পেপ্যাল ছাড়ার পরই তিনি টেসলা এবং স্পেসএক্সের মতো কোম্পানি শুরু করেন।
মারিসা মায়ারকে ২০১২ সালে ইয়াহুর সিইও করা হয়েছিল। পরে ২০১৭ সালে তাঁকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়। অপসারণের কারণ বলা হয়েছে কোম্পানির ধীরগতি বৃদ্ধি এবং কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ।
সোশ্যাল সাইট এক্স-এ World of Statistics হ্যান্ডেলের (@stats_feed) একটি পোস্টে একটি তালিকা দেওয়া হয়েছিল। একাধিক হাই প্রোফাইল সিইও বা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা যাঁদের নিজের সংস্থা থেকে সরে যেতে হয়েছে তাঁদের তালিকা সেটি। সেখানে রয়েছে, টুইটার (এখন X) থেকে নোয়াহ গ্লাস, গ্রুপন থেকে অ্যান্ড্রু ম্যাসন, ইয়াহু থেকে জেরি ইয়াং, জেট ব্লু থেকে ডেভিড নিলিম্যান, ফ্লিপকার্টের শচীন বনসাল এবং বিনি বনসালের নাম।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -