Lifestyle:শীতের ডায়েটে বাজরা 'মাস্ট' তো? ফয়দা বহু, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
সকাল-সন্ধেয় শিরশিরানি হাওয়া এখন দিব্যি বুঝিয়ে দেয়, শীত প্রায় এসে গিয়েছে। বছরের এই সময়টা নানা ধরনের মেলা-উৎসবে মেতে ওঠার পক্ষে আদর্শ। কিন্তু একই স্বাস্থ্যের দিকে আরও বেশি করে নজর দেওয়া জরুরি।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসুস্থ থাকতে হলে যেদিকে প্রথমেই নজর দেওয়া দরকার, তা হল খাবার। আর শীতকালীন খাবারের তালিকায় বাজরাকে রাখার পক্ষে এখন বহু বিশেষজ্ঞই সওয়াল করছেন।
রুটি, 'স্য়ুপ', 'পরিজ' বা 'স্মুথি' ---নানা ভাবেই বাজরা খাওয়া যেতে পারে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ৩৫০০-২০০০ ক্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত কোরিয় উপত্যকার বাসিন্দাদের মধ্যে বাজরা খাওয়ার রীতিমতো চল ছিল।
ভারতীয় শাস্ত্রেও একাধিক জায়গায় বাজরার কথা উল্লেখ করা রয়েছে। তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে এখনও বাজরার চাল থেকে তৈরি ভাত খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই শস্যের অনেকগুলি স্বাস্থ্য়গুণের অন্যতম হল, এটির গ্লাইসিমিক ইনডেক্স খুব কম। ফলে এটি খেলে আচমকা সুগার বাড়ার আশঙ্কা কম।
বাজরায় থাকা ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ সার্বিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, ধারণা অনেকের। শীতের সময়, কিছু কিছু রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে এই ধরনের সুফল দারুণ কার্যকরী।
ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও বাড়াতে বাজরার কার্যকারিতা রয়েছে, বিশ্বাস করেন কেউ কেউ। এর মধ্যে থাকা প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য শ্বাসকষ্টের সমস্যা কিছুটা হলেও কমাতে কাজে দেয়।
ডায়েটরি ফাইবারে সমৃদ্ধ বাজরা সার্বিক ভাবে হজমের সমস্যা ঠিক করতেও কাজে দেয়। বিশেষত, কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে এর উপরে আস্থা রাখতে বলেন অনেকেই।
তবে কারও কারও ক্ষেত্রে বাজরা খাওয়ায় অসুবিধা হতে পারে। সে জন্য ডাক্তাররা রয়েছেন। এসব ক্ষেত্রে নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে ডাক্তারের মতো চলাই একমাত্র কাম্য।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -